Book Name:Ittiba e Shehwat Ki Tabah Kariyan
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন, সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরীয়ার মহান বুযুর্গ হযরত আবু কাসিম জুনাঈদ বাগদাদী তাকে অন্তরের রোগ (দূর করার) কেমন চমৎকার উপায় বললেন যে, যখন তুমি নফসের প্রবৃত্তিসমূহের বিরোধতা করবে তখন অন্তরের সমস্ত রোগ তোমার থেকে দূর হয়ে যাবে এবং এই রোগ নিজেই ঔষধও হয়ে যাবে। এতে জানা যায়, কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ এবং নফসের প্রবৃত্তিসমূহ পূরণ করা কেমন ধ্বংসাত্মক রোগসমূহের অন্তর্ভুক্ত যে, এটা অন্তরকে গুনাহের আবর্জনায় পূর্ণ করে দেয়। একটু মনোযোগ দিন, এটাই কি কারণ নয় যে, আমাদের অন্তরে নেকির কথা প্রভাব ফেলেনা এবং ইবাদাতে মন বসেনা। তাই আমাদেরও এই ঘটনা থেকে শিক্ষা অর্জন করা উচিত, অনর্থক আকাঙ্ক্ষা সমূহ এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণে পড়ে নিজের জীবনের আলোকিত প্রদীব নিভিয়ে দেয়ার পরিবর্তে সুন্নত অনুযায়ী নেকী ভরা জীবন অতিবাহিত করা উচিত।
মনে রাখবেন! জায়িয নাজায়িযের পরোয়া করা ব্যতিত নফসের প্রতিটি আকাঙ্ক্ষা পূরণে লেগে পরাকে প্রবৃত্তির অনুসরণ বলা হয়। (বাতেনী বিমারিয়োঁ কি মা'লুমাত, ১০২ পৃষ্ঠা) নিশ্চয়ই উত্তেজনার পিছনে পড়াতে শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি রয়েছে। এর ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এই হাদীসে পাক থেকে ভালোভাবে জানা যায়।
রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: ৩টি জিনিস ক্ষতির মুখে ফেলে দেয়। (১) লোভ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষায় মত্ত থাকা। (২) নফসের প্রবৃত্তিসমূহের অনুসরণ করা। (৩) বান্দা তার নিজেকে নিয়ে অহংকার করা। (মু'জামুল আউসাত, ৪/২১২, হাদীস ৫৭৫৪)