Book Name:Ittiba e Shehwat Ki Tabah Kariyan
নেয়ামতসমূহ দ্বারা ধন্য করেন। তাই আমাদেরও উচিত আমরা যেন এই পুরস্কার ও সম্মান গুলো থেকে বঞ্চিত না থাকি। এগুলো অর্জনের জন্য নফসের প্রবৃত্তিসমূহ থেকে বাঁচার প্রাণপণে চেষ্টা করতে থাকি। কুপ্রবৃত্তির অনুসরণে উদ্বুদ্ধকারী অনেক মাধ্যম হতে পারে। আসুন! তন্মধ্যে পাঁচটি মাধ্যম ও এর প্রতিকার সম্বন্ধে আলোচনা করি, যাতে এর অনিষ্ট থেকে বাঁচা আরো সহজ হয়।
(১) দ্রুত প্রভাব গ্রহণ করে ফেলা
কোন বস্তুর প্রশংসা শুনে অথবা কারো কাছে কোন বস্তু দেখে অন্তরে এই ইচ্ছা সৃষ্টি হওয়া যে, এই জিনিস আমার কাছেও থাকা উচিত। (যেমন কারো মোবাইল, লেপটপ, আইপেড, ঘর, দোকান, গাড়ি ইত্যাদি) এই বস্তুগুলো দেখলে সেগুলোর প্রয়োজন আমাদের হোক বা না হোক, ব্যাস! মাথায় একটি চিন্তায় ভর করে, যেকোন ভাবে আমি যেন এগুলো অর্জন করে ফেলি। এখন, জিনিসগুলো অর্জন করা কষ্টসাধ্য হওয়াতে ব্যক্তি তার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জায়িয ও নাজায়িযের সীমা পার করতে থাকে। এভাবে সে ধ্বংসের গভীর গর্তে নিপতিত হয়।
এর প্রতিকার হলো, ব্যক্তি যেন তার প্রয়োজন ও নাজায়িয আকাঙ্ক্ষার মাঝে তফাৎ সৃষ্টি করার অভ্যাস করে। এই ব্যাপারে কোন একনিষ্ঠ ও নেককার বন্ধুর পরামর্শ নেয়। নফসের প্রবৃত্তির নিন্দা ও তার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করে এবং জায়িয ইচ্ছা পূরণের জন্য যেনো জায়িয মাধ্যমই গ্রহণ করে।
এইভাবে কুপ্রবৃত্তির অনুসরণে উদ্বুদ্ধকারী একটি কারণ অমিতব্যয়িতার বদঅভ্যাসও হতে পারে। কেননা, যে ব্যক্তির মাঝে অমিতব্যয়িতার অভ্যাস থাকবে, সে যেকোনো পছন্দ হওয়া