Tazeem e Mustafa Kay Waqiaat

Book Name:Tazeem e Mustafa Kay Waqiaat

যে নিজেকে ছোট মনে করে, সে তার বড়দের সামনে কথা কাজে এমন ভাব পোষন করে, যাতে সেই বড়দের মহত্ব মহানত্ব প্রকাশ পায়, যেমন মুরীদ তার পীরের সামনে, সন্তান তার পিতা-মাতার সামনে, কর্মচারী অফিসারদের সমানে, ছাত্র তার শিক্ষকের সামনে, মুক্তাদী নিজের ইমামের সামনে, এমনকি ভাই নিজের বড় ভাইয়ের সামনে এমন অনেক ভাব পোষন করে, যাতে বড়দের আদব সম্মান এবং তাদের শান মর্যাদা প্রকাশ পায় আর কেনইবা হবে না যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বত্তাগত ভাবেই (নিজেইবড়দেরকে ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শণ এবং ছোটদেরকে তাদের বড়দের সম্মান করার প্রতি গুরুত্ব দিতে গিয়ে ইরশাদ করেন: لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيْرَنَا وَيُوَقِّرْ كَبِيْرَنَا অর্থাৎ- যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় (তিরমিযী, আবওয়াবুল বিররে ওয়াস সিলা, /৩৬৯, হাদীস: ১৯২৬) সুতরাং আমাদের উচিৎ, নিজের ছোটদের স্নেহ করা এবং নিজের পিতা-মাতা, বড় ভাই বোন, বুযুর্গ, সঠিক আক্বীদা সম্পন্ন সুন্নি ওলামায়ে কিরাম মুফতীয়ানে এজামদের رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام অতিশয় সম্মান করা আর তাযীমে মুস্তফা তথা হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি  সম্মান প্রদর্শণের বিষয়ে তো কখনো কোন প্রকার অলসতাই না করা, বরং যদি অভিশপ্ত শয়তান আমাদের বিভিন্ন ধরণের বাহানা কুমন্ত্রণার মাধ্যমে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে এবং নবীর সম্মানকে শিরক কুফর বলে অবহিত করে তবে কখনোই তার এই প্রতারনায় পতিত হবেন না, মনে রাখবেন! যে অভিশপ্ত শয়তান হযরত আদম عَلَیۡہِ السَّلَام কে সিজদা করতে অস্বীকার করে আল্লাহ পাকের অবাধ্য এবং নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শণের ব্যাপারে অস্বীকারকারী হয়ে গিয়েছিলো আর আল্লাহ পাকের দরবার থেকে তিরস্কার করা হয়েছে, সে কখনোই চাইবে না যে, আমরা হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করে আল্লাহ পাকের একান্ত বাধ্যগত আমরা আল্লাহ পাকের দরবারে নৈকট্যশীল (বান্দা) হয়ে যায়

    ফকীহে মিল্লাত হযরত মুফতী জালালুদ্দীন আহমদ আমজাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করা কুফর নয় বরং নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করাকে অস্বীকার করাই কুফর এবং এটা এমন কুফর যা মানুষের জন্মের পর সর্বপ্রথম হয়েছিলো, যেমনটি আল্লাহ পাক ১ম পারায় সুরা বাকারার ৩৪ নং আয়াতে ইরশাদ করেন: