Book Name:Tazeem e Mustafa Kay Waqiaat
হযরত আল্লামা কাযী আয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মর্যাদা ও সম্মান করার আদেশ দিয়েছেন এবং তাঁর আদব ও সম্মানকে আবশ্যক করে দিয়েছেন।
(আশ শিফা বেতা’রিফে হুকুকুল মুস্তফা, ২য় অংশ, ৫৩ পৃষ্ঠা)
এর বিস্তারিত বর্ণনা করতে গিয়ে ফকিহে মিল্লাত হযরত মুফতি জালালুদ্দিন আহমদ আমজাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আয়াতে মুবারাকায় নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সম্মান ও আদব করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা শুধু জায়িয নয় বরং ওয়াজীব ও আবশ্যক।
সুতরাং মুসলমানের জন্য আবশ্যক যে, তারা যেন প্রত্যেক ভাবে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আদব রক্ষা করে এবং সকল জায়িয পন্থায় তাঁকে সম্মান ও আদব প্রদর্শণ করে। এজন্যই যে, আয়াতে মুবারাকায় নবীর প্রতি সম্মানের একছত্র আদেশ রয়েছে, অর্থাৎ হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি সম্মান প্রদর্শণের জন্য কোন বিশেষ পদ্ধতি নিদ্দিষ্ট করা হয়নি, সুতরাং সর্বাবস্থায় তাঁকে সম্মান করা আবশ্যক, তবে তাঁকে আল্লাহ বা আল্লাহর সন্তান বলা বা আল্লাহ পাকের মতোই তাঁর জন্য কোন গুনাবলী প্রমাণ করা শিরক ও কুফর এবং তাঁকে (সম্মানার্থে) সিজদা করা হারাম ও নাজায়িয। তিনি আরো বলেন: এই আয়াতে মুবারাকায় সর্বপ্রথম ঈমানের আলোচনা করা হয়েছে, অতঃপর হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সম্মান ও আদবের আদেশ রয়েছে এবং এরপর ইবাদতের কথা ইরশাদ করেছেন, যাদ্বারা এই বিষয়টির প্রতি প্রকাশ্য ইঙ্গিত যে, ঈমান হচ্ছে সর্বপ্রথম অর্থাৎ ঈমান ছাড়া রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সম্মান কবুল হবে না, তবে ঈমানের পর রাসূলের প্রতি সম্মান প্রদর্শণের মর্যাদা অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে উত্তম। কেননা, এই কাজটি ছাড়া সকল ইবাদত নামায, রোযা, যাকাত ও সদকা এবং সকল প্রকার নেকী গ্রহণ যোগ্য নয়।
(তাযীমে নবী, ১৭ পৃষ্ঠা, সংক্ষেপিত)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো, ঈমান আনার পর সকল মুসলমানের জন্য নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করা অতিশয় আবশ্যক। মনে রাখবেন! সম্মানের অর্থই হচ্ছে যে, মানুষ তার কথা ও কাজে কারো মহত্বকে প্রকাশ করবে। সুতরাং প্রত্যেক ছোটই,