Book Name:Fazail e Hasnain e Karimain
ইরশাদ হচ্ছে: مَنْ اَحَبَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَیْنَ فَقَدْ اَحَبَّنِىْ وَمَنْ اَبْغَضَهُمَا فَقَدْ اَبْغَضَنِىْ অর্থাৎ যে হাসান ও হোসাইনকে ভালোবাসলো, (মূলত) সে আমাকে ভালোবাসলো এবং যে তাঁদের দু’জনের সাথে শত্রুতা পোষণ করলো, (মূলত) সে আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করলো।
(ইবনে মাজাহ্, কিতাবুস সুন্নাহ, ১/৯৬, হাদীস ১৪৩)
ইরশাদ হচ্ছে: هُمَا رَيْحَانَتَايَ مِنَ الدُّنْيَا অর্থাৎ হাসান ও হোসাইন (رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا) দুনিয়ায় আমার দুটি ফুল।
(বুখারী, কিতাবু ফাযায়িলে আসহাবুন নবী, ২/৫৪৭, হাদীস ৩৭৫৩)
ইরশাদ হচ্ছে: اَلْحَسَنُ وَالْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ اَهْلِ الْجَنَّةِ অর্থাৎ হাসান ও হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا জান্নাতী যুবকদের সরদার। (তিরমিযী, ৫/৪২৬, হাদীস ৩৭৯৩)
হাসানাঈন করীমাইনের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা ওয়াজিব
হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন: যখন (২৫তম পারা, সূরা আশ শুরার) এই আয়াতে মুবারাকা অবতীর্ণ হলো:
قُلۡ لَّاۤ اَسۡـَٔلُکُمۡ عَلَیۡہِ اَجۡرًا اِلَّا الۡمَوَدَّۃَ فِی الۡقُرۡبٰی ؕ
(পারা ২৫, সূরা আশ শুরা, আয়াত ২৩)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আপনি বলুন: ‘আমি সেটার জন্য তোমাদের কাছ থেকে কোন পারিশ্রমিক চাই না, কিন্তু চাই নিকটাত্মীয়তার ভালোবাসা।
তখন সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনার ঐসকল নিকটাত্মীয় কারা, যাঁদেরকে ভালোবাসা আমাদের উপর ওয়াজিব? তখন হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم