Book Name:Khof e Khuda Me Ronay Ki Ahmiyat
জাহান্নামের আযাব স্পর্শ করবে না। (আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, ৪/৯৮, হাদিস:৯)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কুরআনে করীম এবং হাদীস শরীফের পাশাপাশি ইসলামী মনীষীদের উক্তিতেও খোদাভীতি অর্জনের উপদেশ বিদ্যমান। আসুন! খোদাভীতিতে কাঁদা সংক্রান্ত মনীষীদের কয়েকটি উক্তিও শুনি:
(১) হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর পুত্রকে বললেন: হে আমার পুত্র! তুমি নিকৃষ্ট ব্যক্তি হতে বাঁচো। সে আরয করল যে, নিকৃষ্ট ব্যক্তি কে? তিনি বললেন: যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে ভয় করে না। (শুয়াবুল ঈমান, খন্ড-১, পৃষ্ঠা ৪৮০, হাদীস: ৭৭২)
(২) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন: খুব কাঁদো এবং যদি কান্না না আসে তবে কাঁদার মতো ভান করো। ঐ সত্তার কসম! যার কুদরতি হাতে আমার জীবন! যদি তোমাদের মধ্যে কেউ বাস্তব অবস্থা জানতে পারে, তবে সে (খোদাভীতিতে) এমন চিৎকার করবে যে তার আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে এবং এত বেশি নামায পড়বে যে, তার কোমর কথা বলবে। (ইহয়াউল উলুম, ৪/৪৮০)
(৩) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন: আল্লাহ পাকের ভয়ে আমার এক ফোঁটা অশ্রু প্রবাহিত করা আমার কাছে পাহাড় পরিমাণ সোনা সদকা করার চেয়ে বেশি প্রিয়। (ইহয়াউল উলুম, ৪/৪৮০)
(৪) হযরত কা’বুল আহবার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: ঐ সত্তার কসম যার কুদরতি হাতে আমার জীবন! আমি আল্লাহ পাকের ভয়ে এত কাঁদবো যে, আমার অশ্রু গাল বেয়ে নামবে, এটা আমার কাছে পাহাড় পরিমাণ সোনা সদকা করার চেয়ে বেশি পছন্দনীয়।
(ইহয়াউল উলুম, ৪/৪৮০)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد