Book Name:Khof e Khuda Me Ronay Ki Ahmiyat
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল যে, যার কান্না আসে না, তার কাঁদার চেষ্টা করা উচিত। অনেক সময় গুনাহের আধিক্য এবং অন্তরের কাঠিন্যের কারণে চোখের পানি শুকিয়ে যায়। এই কাঠিন্য দূর করার একটি উপায় হলো ক্ষুধা এবং নফল রোযার আধিক্য। এতে অন্তর নরম হবে এবং খোদাভীতিতে কাঁদার সৌভাগ্য লাভ হবে।
খোদাভীতিতে কাঁদার ফযিলত
আমীর আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর বিখ্যাত কিতাব "নেকির দাওয়াত" থেকে কাঁদার কয়েকটি ফযিলত উপস্থাপন করা হলো: আহ! যেন আমরাও গাম্ভির্যতা অবলম্বন করা এবং খোদাভীতিতে অশ্রু প্রবাহিতকারী হয়ে যায়।
(১) রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে মুমিনের চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে অশ্রু ঝরে, যদিও তা মাছির মাথার সমান হয়, আর সেই অশ্রু তার চেহারার দৃশ্যমান অংশে পড়ে, তাহলে আল্লাহ পাক তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেন। (শুয়াবুল ঈমান, ১/৪৯১, হাদিস: ৮০২) (২) রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। (শুয়াবুল ঈমান, ১/৪৮৯, হাদিস: ৭৯৮) (৩) আমীরুল মুমিনীন হযরত আলীয়্যূল মুরতাযা শেরে খোদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: যখন তোমাদের মধ্যে কারো আল্লাহর ভয়ে কান্না আসে, তখন সে চোখের পানি কাপড় দিয়ে মুছবে না, বরং গাল বেয়ে পড়তে দেবে, কারণ সে এই অবস্থায় রাব্বুল আলামীনের দরবারে উপস্থিত হবে। (শুয়াবুল ঈমান, ১/৪৯৩, হাদিস: ৮০৮)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! খোদাভীতিতে কাঁদার ফযিলতগুলোর মধ্যে একটি ফযিলত এই যে, যেই ব্যক্তি খোদাভীতিতে কাঁদবে তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।