Book Name:Khof e Khuda Me Ronay Ki Ahmiyat
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হয়তো অশ্রু প্রবাহিত করার উপকারিতা শুনে কাঁদার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। মনে রাখবেন যে, শরীয়ত অনুযায়ী যে কান্না পছন্দনীয় এবং যেটার উপর সাওয়াব রয়েছে, সেই কান্না আল্লাহ পাকের জন্য হবে, আখেরাতের চিন্তায় হবে, খোদাভীতিতের কারণে হবে। পক্ষান্তরে দুনিয়ার জন্য কাঁদলে চোখের উপকারিতা পাওয়া যেতে পারে কিন্তু সাওয়াব পাওয়া যাবে না। আফসোস! আজ আমরা দুনিয়া ভালো করার জন্য কতটা অস্থির। দুনিয়া ভালো হয়ে যাক, স্বাস্থ্য ঠিক হয়ে যাক, দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাক, বিপদাপদ দূর হয়ে যাক, ধন-সম্পদের প্রাচুর্য হয়ে যাক, দামি মোবাইল পাওয়া যাক, নতুন গাড়ি পাওয়া যাক, মোটকথা অসংখ্য দুনিয়াবী উদ্দেশ্য রয়েছে যা অর্জনের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করি, কিন্তু আফসোস! আখেরাতকে উন্নত করার প্রেরণা তেমন দেখা যায় না, যেমনটি দেখা উচিত। আহ! আমাদেরও যেন দুনিয়ার নশ্বরতার প্রকৃত অর্থে উপলব্ধি হয়ে যায়, আমাদেরও উদাসিনতা শেষ হয়ে যায়। যদি আমাদেরও রহমতের আশার পাশাপাশি সত্যিকার অর্থে খোদাভীতিতের নেয়ামত অর্জিত হয়ে যেত, মন্দ পরিণতির ভয় আমাদের মনে বাসা বাঁধত, আহ! আমাদেরও যেন সত্যিকারের মালিকের অসন্তুষ্টির ভয় সর্বদা লেগে থাকে, মৃত্যুর সময়ের কঠিনতা, গোসল, কাফন ও দাফনের অবস্থা এবং মৃত অবস্থায় নিজের অসহায়ত্বের অনুভূতি হয়ে যায়। কবরের অন্ধকার, এর ভয়, কবরে আগত ফেরেশতাদের প্রশ্ন এবং কবরের আযাবের দুঃখ যেন আমাদের সর্বদা পীড়িত করে। আহ! হাশর ও পুলসিরাতের গরম, আল্লাহর দরবারে উপস্থিতি এবং সবার সামনে দোষ প্রকাশ পাওয়ার অপমানের ভয় আমাদের মনে যেন থাকে। দোযখের ভয়ানক চিৎকার, দোযখের ভয়ানক শাস্তি এবং