Khof e Khuda Me Ronay Ki Ahmiyat

Book Name:Khof e Khuda Me Ronay Ki Ahmiyat

এত বেশি কাঁদার কারণে তাঁর চোখের পানিতে ঘাস (Grass) জন্মে যায় এবং তা তাঁর মাথা ঢেকে দেয় (হিকায়াতেঁ অউর নাসিহতেঁ, পৃ: ১৩৫)

    * হযরত ইবরাহীম عَلَیْهِ السَّلَام সম্পর্কে বর্ণিত আছে: যে, তিনি যখন নামাযের জন্য দাঁড়াতেন, তখন আল্লাহর ভয়ে এত বেশি কাঁদতেন যে, এক মাইল দূর থেকেও তাঁর বুকে সৃষ্ট কান্নার আওয়াজ শোনা যেত (ইহইয়াউল উলুম, /২২৬ নেকির দাওয়াত, পৃ: ২৭৩)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!         صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

আউলিয়ায়ে কিরামের رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام খোদাভীতিতে ক্রন্দন

    আম্বিয়ায়ে কিরামের عَلَیْهِمُ السَّلَام মতো আল্লাহ পাকের নেক বান্দাগণ অর্থাৎ আউলিয়ায়ে কিরাম رَحِمَہُمُ اللهُ السَّلَام আল্লাহ পাকের ভয়ে প্রচুর অশ্রু ঝরাতেন অনেক ওলী-আল্লাহ সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ পাকের ভয়ে অতিরিক্ত কান্নার কারণে তাঁদের দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছিল, কিন্তু তাঁরা কান্না ত্যাগ করেননি আসুন! অনুপ্রেরণার জন্য আল্লাহ পাকের ভয়ে কাঁদার উপর আউলিয়ায়ে কিরামগণের টি ঘটনা শুনি:

    () হযরত আবু বিশর সালেহ মুররি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একজন মহান মুহাদ্দিস এবং শক্তিশালী মুবাল্লিগ ছিলেন বয়ানের সময় তাঁর নিজের এই অবস্থা হত যে, খোদাভীতিতে তিনি কাঁপতেন, থরথর করে কাঁপতেন এবং এমনভাবে হাউমাউ করে কাঁদতেন যেমনটি কোনো মহিলা তার একমাত্র সন্তান হারানোর শোকে কাঁদে কখনো কখনো অতিরিক্ত কান্নার কারণে এবং দেহের কম্পনের ফলে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জোড়গুলো স্থানচ্যুত হয়ে যেত তাঁর খোদাভীতির এই অবস্থা ছিল যে, যদি কোনো কবর দেখতেন, তাহলে দুই-তিন দিন বিস্মিত নীরব থাকতেন এবং খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিতেন (আউলিয়ায়ে রেজালুল হাদীস পৃ:১৫১)