Book Name:Amad e Mustafa Marhaba Marhaba
جَاءَ শব্দের ঈমান উদ্দীপক ব্যাখ্যা
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যে আয়াতটি আমরা এইমাত্র শুনলাম, তাতে আল্লাহ পাক جَاءَ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, এর মধ্যেও বড়ই ঈমান উদ্দীপক প্রশংসা রয়েছে। আলহাজ্ব মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: কুরআন মজীদে সাধারণ মানুষের জন্মের আলোচনার জন্য ২টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে: (১): خَلَقَ (অর্থাৎ সৃষ্টি করা, বানানো) (২): بَدَعَ (উদ্ভাবন করা)। কিন্তু হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুনিয়ায় তাশরীফ আনার জন্য ৩টি শব্দ ইরশাদ হয়েছে: (১): جَاءَ (তাশরীফ এনেছেন) (২): أَرْسَلَ (পাঠিয়েছেন) (৩): بَعَثَ (প্রেরণ করেছেন)। সারকথা; কুরআনুল কারীমের কোনো জায়গাতেই তাঁর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আগমনের জন্য خَلَقَ বা بَدَعَ (অর্থাৎ সৃষ্টি করা) শব্দ আসেনি। এর মধ্যেও একটি হিকমত আছে, আর তা হলো, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ পাকের সকল সৃষ্টির মধ্যে সর্বোচ্চ নেয়ামত, যা উপহারস্বরূপ সৃষ্টিজগতকে দেওয়া হয়েছে। (তাফসীরে নঈমী, পারা: ১১, সূরা তাওবা, ১২৮ নং আয়াতের পাদটীকা, ১১/১৫১)
নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুনিয়ায় আগমনটা এমন, যেমন একজন শাসক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি (Transfer) হয়ে আসেন। এর মানে এই নয় যে, ওই অফিসারের সৃষ্টিই এখন হয়েছে, বরং ওই অফিসার তো আগে থেকেই ছিলেন, এখন শুধু জায়গার পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক তেমনই আউয়াল ও আখির (প্রথম ও শেষ) নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নূর মোবারকের সৃষ্টি সমস্ত মাখলুকের আগে হয়েছিল। দুনিয়ায় আসার আগে তিনি صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘আলমে আরওয়াহ’