Book Name:Shan e Ali رضی اللہ عنہ Bazaban e Nabi ﷺ
বলল: তিনি আমীরুল মুমিনীন হযরত আলীউল মুরতাদা শেরে খোদা كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ الْكَرِيْم। এখন ঐ ব্যক্তি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি মহিলাটির কাছ থেকে খেজুর ফেরত নিয়ে দিরহামগুলো ফেরত দিয়ে দিলো এবং হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর নিকট উপস্থিত হয়ে বিনয়ের সাথে আরয করলো: আলীজাহ! আমি চাই আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। মাওলায়ে কায়েনাত, হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: তুমি যদি আমাকে সন্তুষ্ট করতে চাও তবে মানুষের হক পরিপূর্ণভাবে আদায় করবে!!
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসুল! এই শিক্ষণীয় ঘটনা থেকে আমাদের শিখার অনেক মাদানী ফুল রয়েছে। সর্বপ্রথম এটা দেখুন, হযরত আলীউল মুরত্বাদা কেমন বিনয়ী ছিলেন, তিনি আমীরুল মুমিনীন, মুসলমানদের খলিফা, তা সত্ত্বেও তিনি সাধারণ মানুষের মতো কোন প্রটৌকল ছাড়াই বাজারে তাশরীফ নিয়ে যেতেন। এছাড়া এটাও ভেবে দেখুন যে ঐ ব্যক্তি অজ্ঞতাবশত: তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে, এটা অসম্মানজনক আচরণ ছিলো এটার জন্যও তিনি ঐ ব্যক্তিকে শাস্তি দেননি।
মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর বিনয় ও নম্রতা
سُبْحَانَ الله! আল্লাহ পাক আমাদেরকেও নম্রতা ও বিনয়ের সম্পদ দ্বারা ধন্য করুন। হযরত আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে: তিনি তাঁর খেলাফতকালে আমীরুল মুমিনীন হওয়া সত্ত্বেও বাজারে তাশরীফ নিয়ে যেতেন, সেখানে কারো কোন বস্তু পড়ে গেলে তা নিজ হাতে উঠিয়ে দিতেন, কেউ রাস্তা ভূলে গেলে তাকে পথ দেখিয়ে দিতেন, কেউ ভারী মালামাল উঠাতে চাইলে তাকে তা উঠানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতেন।
হায়! যদি আমরাও বিনয় অবলম্বন করতাম, কোন পদবী অর্জন হলো, বড় কোন পদে অধিষ্টিত হলো, সম্পদশালী হয়ে গেলো এর অর্থ এ নয় যে আমরা অহংকারী হয়ে যাব, গরীবদের দেখে কপাল সংকুচিত করবো, না, না এমনটা কখনো করা যাবেনা, আল্লাহ পাকের সৃষ্টি কুলের সেবা করতে হবে, মানুষের উপকারে এগিয়ে আসতে হবে, গরীবদের সাহায্য করতে হবে, আমাদের সমাজে তো লোকেরা নিজের কাজ নিজে করতে