Book Name:Sila Rehmi
মন্দের মালিক। আমাদের জীবন মরণ যার কুদরতী হাতে, এমন শক্তিশালী সত্তার হুকুম সমূহের বিরোধীতা করাটা কেমন বোকামী? আত্মীয়তার বন্ধনের এমন গুরুত্ব রয়েছে যে, যদি কেউ নিজ আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো আচরণ না করার শপথ করে ফেলে, তবে এমন পরিস্থিতিতেও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার হুকুম রয়েছে এবং কসমের কাফফারাও দিতে হবে।
হযরত সায়্যিদুনা আবুল আহওয়াছ আউফ বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন; তার পিতা বলেন: আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপনি এ ব্যাপারে কি বলেন? আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছে থেকে কিছু চাইলে তবে সে কিছু দেয় না এবং আত্মীয়তার বন্ধনও রক্ষা করে না। আর যখন তার নিকট আমার প্রয়োজন হয়, তখন সে আমার কাছে আসে এবং আমার কাছে কিছু চায়। অথচ আমি শপথ করেছি যে, আমি তাকে কিছু দিবো না এবং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবো না। তখন হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে নির্দেশ দিলেন: “যে কাজ উত্তম তা করো আর শপথের কাফফারা দিয়ে দাও।”
(নাসায়ী, ৬১৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৭৯৩)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! এখানে এ কথাটা অন্তরে গেঁথে রাখুন যে, যদি কেউ অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া, সম্পর্ক নষ্ট করা বা কারো হক আদায় না করার জন্য শপথ করে ফেলে, তখন ঐ শপথকে ভেঙ্গে তার কাফ্ফারা দিতে হবে। এ শপথকে পূর্ণ করা গুনাহ। যেমন-
রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যদি কোন ব্যক্তি তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি সাধন করার জন্য শপথ করে, তবে আল্লাহ পাকের শপথ! তাদেরকে কষ্ট দেওয়া এবং শপথ পূর্ণ করা আল্লাহ পাকের নিকট বড় গুনাহ। এর থেকে সে তার শপথের পরিবর্তে কাফ্ফারা দিবে, যা আল্লাহ পাক তার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন।”
(বুখারী, ৪/২৮১, হাদীস: ৬৬২৫)