Book Name:Sila Rehmi
কে তাদের অনুষ্ঠানে ডাকা তো দূরের কথা তাদের থেকে দোয়া ও সালামের সম্পর্ক পর্যন্ত রাখতে তার ইচ্ছা পোষণ করে না। এই ভাবে যাকাতের হকদার আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভিন্ন চোখে দেখে থাকে। এমনকি কিছু পরিবারের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতায় তাদের মৃত্যুর ব্যাপারে কাফন-দাফন, জানাযার নামায ও সমবেদনার ক্ষেত্রে উদাসীন হয়ে থাকে। মোটকথা আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এখন প্রাথমিক অবস্থার একনিষ্টতা ও ভালোবাসা এবং হিতাকাঙ্ক্ষীতার উৎসাহ একেবারেই শেষ হতে দেখা যাচ্ছে। কেননা, আমরা তাদের মাঝে নিজেরাই কঠিনতর দরজা বন্ধ করে দিয়েছি। এমন করুণ পরিস্থিতি দেখে এ ধারণা করতে একটুও সমস্যা হবে না যে, প্রকৃত আত্মীয়তার বন্ধনকে এখন বোঝা মনে করছে।
নিকট আত্মীয়দের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং সমস্যার মধ্যে তার কাজ না আসার তিরস্কারের উপর কিছু শিক্ষণীয় হাদীস শরীফ শুনুন! আল্লাহ পাকের ভয়ে কেঁপে উঠুন ও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো আচরণ করার নিয়্যত করে নিন।
(১) “হে উম্মতে মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কসম ঐ সত্ত্বার! যিনি আমাকে সত্যসহকারে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ পাক ঐ ব্যক্তির সদকা কবুল করেন না, যার আত্মীয়-স্বজন তার কল্যাণের মুখাপেক্ষী, আর সে অন্যদেরকে দেয়। শপথ ঐ সত্ত্বার! যার কুদরতী হাতে আমার প্রাণ! আল্লাহ পাক এ ধরণের ব্যক্তিদের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।” (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ৩/২৯৭, হাদীস: ৪৬৫২)
(২) “যে ব্যক্তি তার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এসে তার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঐ জিনিস চায়, যা আল্লাহ পাক তাকে দান করেছেন, কিন্তু সে তাতে কৃপণতা করে, তবে আল্লাহ পাক জাহান্নাম থেকে একটি সাপ বের করবেন, যার নাম শূজা হবে। সে জিহ্বাকে নাড়বে, আর ঐ ব্যক্তির গলায় হাঁরে পরিণত হবে।” (মু’জামুল আওসাত, ৪/১৬৭, হাদীস: ৫৫৯৩)
(৩) “যেই গুনাহের শাস্তি দুনিয়াতে তাড়াতাড়ি দিয়ে দেওয়া হয় এবং তার জন্য আখিরাতেও শাস্তির স্তুপ রয়েছে। আর তা হলো; শত্রুতা ও সম্পর্ক ছিন্নের চেয়ে বড় কিছু নয়।” (তিরমিযী, বাব ১২২, ৪/২২৯, হাদীস: ২৫১৯)