Book Name:Sila Rehmi
অতঃপর ভাই, বোন হলো তারাই যারা আমাদের ছোটবেলার সাথী, ভাল মন্দের সময়ের বন্ধু, আর সবচেয়ে বড় কথা হলো এটাই, একই মা-বাবার সন্তান। কিন্তু আফসোস! আজকাল যদি পিতা-মাতা সন্তান থেকে অসন্তুষ্ট হয়, তখন সন্তান ও তার বাবা-মা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখা যায়। বড় ভাই-বোন তার ছোটদের প্রতি অসন্তুষ্ট হলে, তখন ছোটরাও তার বড় ভাই-বোনের সাথে আদব ও সম্মান দেখাতে প্রস্তুত নন। আফসোস! সামান্য তিক্ততার উপর একই ছাদের নিচে থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আপন ভাই-বোনের মাঝে কথাবার্তা বন্ধ থাকে, আর যদি দূরে থাকে তো বহু মাস অনেক সময় বছর পর্যন্ত একে অপরের মুখ দেখতে চাই না।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে,
তুমি তার সাথে সম্পর্ক অটুট রাখো
মাকতাবাতুল মদীনার কিতাব “বেহেস্ত কি কুঞ্জিয়া” খুবই ঈমান তাজাকারী কিতাব। এ সুন্দর কিতাবের মধ্যে শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা মাওলানা আব্দুল মুস্তফা আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাদের অবস্থার প্রতি ঈঙ্গিত করে বলেন: বর্তমান যুগে সামান্য সামান্য এই ধরণের কথাই এটা বলে ফেলে যে, আমি আজ থেকে তোমার ভাই নই এবং তুমি আমার বোন না। এভাবে ভাই ভাইকে বলে ফেলে, আমি আজ থেকে তোমার ভাই না, তুমি আমার ভাই না।
এটা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন অর্থাৎ সম্পর্ককে ছিন্ন করা, যেটা হারাম এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের সব সময় এটা মনে রাখা উচিত যে, কোন আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক যেনো ছিন্ন না করে। বরং সব সময় এই প্রচেষ্টায় রত থাকে যে, আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা থাকে এবং কখনো যেনো সম্পর্ক ছিন্ন হতে না পারে। কিছু লোক এটা বলে থাকে যে, যে আত্মীয় আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখে আমরাও তাদের সাথে সম্পর্ক রাখবো, আর যে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আমরাও তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবো। এটা বলা এবং এই পদ্ধতিটাও ইসলামের পরিপন্থী। (আরো বলেন) আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার একটা পদ্ধতি