Book Name:Sila Rehmi
বলেন: তাওরিয়া অর্থাৎ শাব্দিক যেটা প্রকাশ্য অর্থ রয়েছে সেটা ভুল, কিন্তু বক্তা অন্য অর্থ নেয় যেটা সঠিক। এমনটি করা কোন প্রয়োজন ছাড়াই জায়েয নেই। যদি প্রয়োজন হয় তবে জায়েয।
তাওরিয়ার উদাহরণ এটাই যে, তুমি কাউকে খাবার খাওয়ার জন্য আহ্বান করেছো, সে বলল: আমি খাবার খেয়ে নিয়েছি। এটার প্রকাশ্য অর্থ এটাই যে, এই মূহুর্তের খাবার খেয়ে নিয়েছি। কিন্তু সে যদি এটা উদ্দেশ্য নেয় যে, আমি সব খেয়ে নিয়েছি, এটা মিথ্যার মধ্যে প্রবেশ হবে। (এজন্য এখানে তাওরিয়া করাটা জায়েয হবে না)
(বাহারে শরীয়াত, ১৬তম অংশ, ৩/৫১৮)
ফতোওয়ায়ে রযবীয়ার প্রশ্নের জবাবে এটাও জানা গেলো যে, কোন এক আত্মীয়ের কথার দ্বারা শরয়ী কারণা ছাড়া অন্য আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা শরীয়াতে নিষেধ। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে যায় এবং বড় বড় পা পর্যন্ত এ বক্রতায় এসে টলমল হয়ে যায়। কিন্তু সাহসের মাধ্যমে কাজ গ্রহণ করুন, আল্লাহ পাকের রহমতের প্রতি দৃষ্টি রাখুন এবং এ হাদীসে পাক; “হিকমত মুমিনের হারানো ধন-ভান্ডার।”) (তিরমিযী, কিতাবুল ইলম, ৪/৩১৪, নং- ২৬৯৬) এর উপর দৃষ্টি রেখে হিকমতে আমলী ও আমানতদারীতার সাথে এমন পদ্ধতি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন যে, যাতে উভয় পক্ষ সংশোধন হয়ে যায় এবং কারো হক নষ্ট না হয়। কেননা, কোন এক পক্ষের কথা মেনে নিলে অবশ্যই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, যেটা নাজায়েয ও হারাম। আর এমন হুকুম মানা শরীয়াতে জায়েয নেই, যার কারণে আল্লাহ পাকের নাফরমানি হয়ে যায়। যেমন ভাবে, নবী করীম, রউফু রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “لَا طَاعَةَلِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ অর্থাৎ আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টিতে কোন সৃষ্টির অনুসরন জায়েয নেই।” (মু’জামু কবীর, ১৮/১৭০, হাদীস: ৩৮১)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আসুন! সুগন্ধি লাগানোর কিছু সুন্নাত ও আদব শ্রবণ করার সৌভাগ্য অর্জন করি। প্রথমেই প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণী শ্রবন করি: চারটি বিষয় নবীদের সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত: বিবাহ করা, মিসওয়াক করা, লজ্জা এবং সুগন্ধি লাগানো।