Book Name:Sila Rehmi
দেওয়া হয়, তবে বোনের মনে কষ্ট পাবে। এমন পরিস্থিতিতে যায়েদের কি করা উচিৎ? যায়েদ কি নিজের বোনের কথা শুনে বড় চাচাকে বিয়েতে দাওয়াত করবে না, নাকি নিজের বোনকে ছেড়ে নিজের বড় চাচাকে দাওয়াত দিবে?
আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর উত্তর দিতে গিয়ে বলেন: বোন ও চাচা উভয়ই নিকটতম আত্মীয়। কারো সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েয নেই। যায়েদের উচিৎ তার বোনকে যেভাবেই সম্ভব রাজি করাবে। যদিও গোপনীয় ভাবে আপন চাচাকে বিয়েতে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত দিবে এবং তার বোনকে যেন বলে দেয় যে, আমার পক্ষ থেকে তোমার সব কথা কবুল। না তাকে ডাকবো, না অংশ গ্রহণ করাবো। কিন্তু এতটুকু অবশ্যই তোমার কাছ থেকে চাইবো যে, সে যদি আপনা আপনি চলে আসে, তখন এতে আমার উপর অসন্তুষ্ট হতে পারবে না। সে তোমার ও আমার দু’জনেরই বাবার মতো। কোন অপরিচিত ব্যক্তিও যদি দাওয়াত ছাড়া চলে আসে, তবে তাকে বের করে দেওয়া অসভ্য আচরণ। আর বড় চাচাতো বাবার স্থলাভিসিক্ত। মোটকথা সত্য মিথ্যা বলে উভয়কে রাজি করার মধ্যেও সাওয়াব রয়েছে। যায়েদের পক্ষ থেকে তার বোনের প্রতি বাক্য “আমি তাকে আমন্ত্রণ করবো না” বলার উদ্দেশ্য আমি নিজে তাকে আমন্ত্রণ করতে যাবো না। যদি ব্যক্তি চিঠি পাঠিয়ে দেয়, তিনি চলে আসার এই উদ্দেশ্যও না যে, তিনি পায়ে হেঁটে চলে আসবে না, না আমি তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসবো, দু’টিই বুঝাচ্ছে। সত্য মিথ্যার দ্বারা উদ্দেশ্য যেটার প্রকাশ্যটা মিথ্যা আর উদ্দেশ্যগত অর্থ সত্য যেটাকে আরবীতে توریہ তাওরিয়া বলা হয়। হাদীসের ফরমান রয়েছে: “اِنَّ فِى الْمَعَارِيضِ لَمَنْدُوحَةً عَنِ الْكَذِبِ۔ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে ইশারায় কথাবার্তা মিথ্যা থেকে মুক্তি।”
(আস সুনানুল কুবরা, ১০/৩৩৬, হাদীস: ২০৮৪৩)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আপনারা শুনলেন তো! সায়্যিদী আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রশ্নকারীকে শরীয়াতের প্রয়োজন অনুসারে তাওরিয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। শরীয়াতের অক্ষমতার উপর ভিত্তি করে মানুষ তাওরিয়া করে মিথ্যা থেকে বেঁচে যায়। কিন্তু স্মরণ রাখবেন! তাওরিয়া করার বিশেষ দিক রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া তাওরিয়া করা শরয়ী ভাবে জায়েয নেই। যেমন ভাবে সদরুশ শরীয়া, মুফতী আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ