Book Name:Sila Rehmi
হযরত ফকীহ আবুল লাইছ সমরকন্দি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাম্বীহুল গাফেলীনে বর্ণনা করেন; হযরত ইয়াহইয়া বিন সুলাইম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মক্কায়ে মুর্কারমার মধ্যে খোরাসানের এক নেককার ব্যক্তি ছিলো, মানুষ তার কাছে আমানত রাখতো। এক ব্যক্তি তার কাছে দশ হাজার মুদ্রা আমানত রেখে তার প্রয়োজনীয় কোন সফরে চলে গেলো। যখন সে ফিরে আসলো, তখন ঐ খোরাসানের ব্যক্তিটার ইন্তেকাল হয়ে গেলো। তার পরিবারের কাছে তার আমানতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো, তারা কিছু জানে না বললো। আমানত গচ্ছিতকারী মক্কার আলীমদের কাছে জিজ্ঞাসা করলো যে, আমার কি করা উচিৎ? তারা বললো: আমরা ধারণা করছি যে ঐ খোরাসানী জান্নাতী, তুমি এটা করো যে, মধ্য রাত বা রাতের শেষ ভাগ শেষ হওয়ার পর যমযম কূপে গিয়ে তার নাম নিয়ে ডাক দিবে আর তার থেকে জিজ্ঞাসা করবে।
সে তিন রাত এরূপ করলো, কিন্তু সেখান থেকে কোন উত্তর আসলো না। তারপর সে পুনরায় গিয়ে আলীমদের জানালো, তারা
اِنَّا لِلّٰهِ وَ اِنَّاۤ اِلَيْهِ رٰجِعُوْنَ পড়ে বললো: আমাদের ভয় হচ্ছে সে হয়তো জান্নাতী নয়। তুমি ইয়েমেন চলে যাও, সেখানে বুরহুত নামক উপত্যকায় একটি কূপ রয়েছে, সেখানে পৌঁছে একই ভাবে ডাকবে। সে এরূপই করলো, তখন প্রথমবারেই ডাকে সাড়া আসলো: আমি সেটা ঘরের অমুক জায়গায় দাফন করে রেখেছি। আর আমি আমার ঘরের সদস্যদের কাছেও আমানত রাখিনি, আমার ছেলের কাছে যাও ঐ জায়গাটি খনন করো পেয়ে যাবে। অতঃপর সে এরূপই করলো এবং সম্পদ পেয়ে গেলো। আমি তাকে বললাম: তুমি তো অনেক নেককার, এখানে কিভাবে পৌঁছে গেলে? সে বললো: আমার কিছু আত্মীয়-স্বজন খোরাসানে ছিলো, যাদের সাথে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রেখেছিলাম। ঐ অবস্থায় আমার মৃত্যু এসে গেলো, এ কারণে আল্লাহ পাক আমাকে এই শাস্তি দেন, আর ঐ জায়গায় পৌঁছে দেন। (তাম্বীহুল গাফেলীন, ৭২ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! গভীর চিন্তা করুন! আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা কি পরিমাণ খারাপ জিনিস। এর কারণে অনেক নেকীর প্রতিদান নষ্ট হয়ে যায় এবং আখিরাতে আল্লাহ পাকের রহমত থেকে দূরে থাকার সম্মুখীন হতে হয়। আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি