Book Name:Husn e Zan Ki Barkatain
চেহারা হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে। ওই আবিদ পুনরায় তার ইবাদতখানায় ফিরে গেলো।
হযরত খুলদ বিন আইয়ুব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: ওই মুচীকে ওই ইবাদত পরায়ণ ব্যক্তির উপর এজন্য ফযিলত দেওয়া হয়েছে যে, সে অন্যের তুলনায় নিজেকে ছোট মনে করে এবং নিজেকে ছাড়া সবাইকে জান্নাতী মনে করে। (উয়ুনুল হিকায়াত, পৃষ্ঠা ১৬৬)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! পাহাড়ের চূড়ায় ৬০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদতকারী থেকে বড় একজন মুচীর বড় ইবাদত পরায়ণ ও বড় মর্যাদা অর্জিত হলো। ওই নেককার ও পূণ্যবান মুচীর বৈশিষ্ট্য কী ছিলো? তিনি সারাদিন হালাল রিযিক উপার্জন করতেন, হারাম থেকে বাঁচতেন, তারপর অর্ধেক সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় সদকা করে দিতেন। ওই নেককার ও পূণ্যবান মুচীর দ্বিতীয় আমল এটাই ছিলো যে, তিনি বেশি পরিমাণে রোযা রাখতেন, আর বিশেষ করে ওই আমল যার ভিত্তিতে ওই নেককার ও পূণ্যবান মুচীকে ৬০ বছর পর্যন্ত ইবাদতকারী আবিদ থেকে বেশি সম্মান দেওয়া হয়েছে, ওই বিশেষ আমল হলো এটাই যে, তিনি সবার প্রতি সুধারণা রাখতেন এবং সকলকে নিজের থেকে ভালো জানতেন। নিজেকে ছাড়া সবাইকে জান্নাতী মনে করতেন, আর তার নিজের অবস্থা এমন ছিলো যে, জাহান্নামের ভয়ে তার চেহারা হলুদ বর্ণের হয়ে গিয়েছিলো।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সুধারণা এমন এক সু-উচ্চ ইবাদত যা বুকে আমাদের কম্পনরত হৃদয় ও আমাদের আমলনামায় নেকী বেড়ে যাওয়ার মাধ্যম হয়ে যায় বা গুনাহ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদানকারী হয়ে যায়। যখন হাশরের ময়দানে হাত, পা, চোখ, কান ইত্যাদি থেকে হিসাব নেওয়া হবে, তখন এই অন্তরও ওই