Imam Gazali Ki Naseehaten

Book Name:Imam Gazali Ki Naseehaten

বান্দা ভিতর থেকে ভেঙে পড়ে, লজ্জিত হয়, চোখ থেকে অশ্রু ঝরে, হৃদয় অস্থির হয় ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এখন বান্দা গোসল করুক, পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুক, নির্জনে চলে যাক, তাওবার নামায আদায় করুক এবং সিজদায় মাথা রেখে আল্লাহ পাকের দরবারে সত্য অন্তরে তাওবা করুক, ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুক এবং নেক আমলপূর্ণ নতুন জীবন-যাপনের সংকল্প করুক (মিনহাজুল আবেদীন, দ্বিতীয় অধ্যায়, তাওবার আলোচনায়, পৃষ্ঠা:৭৩) কিন্তু এখন তার সামনে চারটি বড় বাঁধা এসে দাঁড়ায়:

প্রথম বাধা: দুনিয়া; যেমন, মনে এই ধরনের খেয়াল আসে: * আমি ইবাদত করতে শুরু করলে ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের কি হবে, * আমার স্বপ্নগুলো কিভাবে পূরণ হবে, * আমি একজন বড় মানুষ হতে চাই, আমি অমুক পদে পৌঁছতে চাই, এসব কিভাবে সম্ভব হবে, * দাড়ি রাখলে, পাগড়ি পরলে, মসজিদে যেতে শুরু করলে সমাজে আমার কী মূল্য থাকবে, আমার বিবাহ কিভাবে হবে ইত্যাদি ইমাম গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই সবকিছুর চিকিৎসা হলো দুনিয়ার পরিবর্তে আখেরাতকে প্রাধান্য ওয়া।।আমীরুল মুমিনীন মাওলা আলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: দুনিয়া চলে যাচ্ছে, আখিরাত আসছে, এই দুটোরই কামনাকারী আছে হে মানুষেরা! দুনিয়াদার হয়ো না! আখিরাত অন্বেষণকারী হও...! আজ আমলের সময়, হিসাবের নয়, কাল হিসাবের দিন হবে, আমল করতে পারবে না (বুখারী, কিতাবুর রিক্বাক, পৃষ্ঠা: ১৫৮১)

্বিতীয় বাঁধা: মানুষের সাথে মেলামেশা: ইবাদতের পথে আসতে হলে অবশ্যই ইবাদতে সময় দিতে হবে। কিন্তু তখন হোটেলিংয়ের কী হবে? পিকনিক পার্টির কী হবে? বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে হবে, বেড়াতে যেতে হবে, এসবের কী হবে? খারাপ