Book Name:Nigahon ke Hifazat kijiye
দেখুক বা না দেখুক, আল্লাহ্ পাক তো দেখছেন। আহ! যদি দৃষ্টির হেফাযতের এই মানসিকতা আমাদেরও নসীব হতো এবং আমরাও চোখের হেফাযতকারী হয়ে যেতাম।
চোখের হেফাযতের উপর অটল থাকার একটি সেরা উপায় হলো, আমরা যেন মাঝে মাঝে নিজের আত্মসমালোচনা করি। যেমন; নিজের সাথে এভাবে কথা বলে নিজের আমলের পরিসংখ্যান নেওয়া যে, হে বান্দা! আল্লাহ্ পাক তোমাকে চোখের মতো নেয়ামত দান করেছেন, যার সাহায্যে তুমি যা চাও তাই দেখতে পারো। কিন্তু একটু ভেবে দেখ, তুমি এগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করেছো? যেমন; রাস্তা পার হতে, দ্বীনি ইলম শিখতে ও শেখাতে, কুরআন তিলাওয়াত করতে, বাইতুল্লাহ শরীফ, সবুজ গম্ভুজ, পবিত্র স্থানসমূহ, পিতা-মাতা এবং নেককার লোকদের যিয়ারত করতে এগুলোর সাহায্য নিয়েছো, নাকি পরনারীদের দেখতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কুদৃষ্টি দিতে, সিনেমা-নাটক দেখতে, পত্রিকায় ছাপা হওয়া নামুহরিম নারীদের ছবি দেখতে, মহিলাদের ছবিযুক্ত বড় বড় বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড দেখতে, কারো চিঠি বা লেখা বিনা অনুমতিতে পড়তে, কম্পিউটার বা মোবাইলে অশ্লীল ছবি বা ভিডিও দেখতে, কারো ঘরে উঁকি মারতে, বা এদিক-ওদিক ফালতু জিনিস দেখতে এগুলোর সাহায্য নিয়েছো? তোমাকে তো এই চোখগুলোকে পবিত্র রাখার হুকুম দেওয়া হয়েছিল। তোমার তো তোমার দয়ালূ প্রতিপালক, তাঁর হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم, সাহাবায়ে কিরাম ও পবিত্র আহলে বাইত رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ اَجْمَعِين, আউলিয়ায়ে কিরাম رَحِمَہُمُ اللهُ عَلَیْہِمْ اَجْمَعِیْن এবং জান্নাতের যিয়ারতের আকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত ছিল। এর জন্য জরুরী ছিল যে, তোমার দৃষ্টি যেনো দুনিয়ার কোনো হারাম ও ফালতু জিনিসের উপর না পড়ে। কিন্তু আফসোস! এগুলি পবিত্র থাকতে পারল না। আজ তোমার হারাম