Book Name:Behtar Kon?
(পারা ২৬, সূরা হুজরাত, আয়াত ১৩) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: হে মানবকুল! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে শাখা প্রশাখা ও গোত্র -গোত্র করেছি,যাতে পরস্পরের মধ্যে পরিচয় রাখতে পারো। নিশ্চয় আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে অধিক সম্মানিত সেই, যে তোমাদের মধ্যে অধিক খোদাভিরু, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন, খবর রাখেন ।
আল্লামা কুরতুবী (رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ) এই আয়াতের অধীনে বলেন: এই আয়াতে আল্লাহ পাক মক্কাবাসীদের বংশ নিয়ে গর্ব করা, সম্পদের প্রাচুর্য কামনা করা এবং গরীবদের উপহাস করার জন্য ভর্ৎসনা করেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে, সমস্ত মানুষ হযরত আদম ও হযরত হাওয়া
(عَلَیْہِمَا السَّلَام) এর সন্তান। মর্যাদার মাপকাঠি (রঙ, রূপ, বংশ বা সম্পদ নয়, বরং) তাকওয়া। (তাফসীরে কুরতুবী, পারা: ২৬, সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩ এর অধীনে, খণ্ড: ১০, পৃষ্ঠা: ২১১)
ভালো-মন্দের মাপকাঠি হলো শরীয়ত
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই আয়াত এবং এর শান-ই-নুযূল থেকে জানা গেল যে ভালো, মন্দ, সাফল্য ও ব্যর্থতা, উত্তম ও অধমের মাপকাঠি রঙ, রূপ, বংশ, গোত্র বা ধন-সম্পদ ইত্যাদি নয়, বরং এর মাপকাঠি হলো তাকওয়া। এই নীতিটি সর্বদা মনে রাখবেন! ভালো ও মন্দ বিবেক দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং শরীয়ত দ্বারা নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ, ভালো কী? মন্দ কী? এই বিষয়টি আমরা নিজেদের বিবেক দিয়ে নির্ধারণ করতে পারি না। ভালো-মন্দের মাপকাঠি হলো শরীয়ত। যাকে আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ভালো বলেন, সেটাই ভালো। যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রসূল মন্দ বলেন, সেটাই নিশ্চিতভাবে মন্দ।
আজকাল আমাদের সমাজে ভালো-মন্দের মাপকাঠি বদলে গেছে। * লোকটা কত উপার্জন করে? * কী কাজ করে? * তার বংশ কেমন? * কতটুকু পড়াশোনা করেছে? * কেমন ইংরেজি বলতে পারে? * কেমন গাড়ি ব্যবহার করে? ইত্যাদি বিষয় দিয়ে কোনো মানুষের ভালো বা মন্দ হওয়ার পরিচয় নির্ধারণ করা হয়। অথচ ভালো-