এবং দ্রুত শেষ হয়ে যায়, আর মন্দ সে, যার দ্রুত রাগ আসে এবং দেরিতে শান্ত হয়। (তিরমিযী, পৃষ্ঠা: ৫২৮, হাদীস: ২১৯১)

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এটা মানুষের তিনটি প্রকার: (১): সেই ব্যক্তি যার রাগ দেরিতে আসে এবং দ্রুত চলে যায়। (২): সে, যার রাগ দ্রুত আসে এবং দ্রুতই চলে যায়। (৩): সেই ব্যক্তি যার রাগ দ্রুত আসে কিন্তু দেরিতে শান্ত হয়। এই তিনজনের মধ্যে উত্তম কে? সেই ব্যক্তি যার রাগ দেরিতে আসে এবং দ্রুত চলে যায়। আর সবচেয়ে মন্দ ব্যক্তি কে? যার রাগ দ্রুত আসে কিন্তু সহজে শান্ত হয় না। এখন আমরা চিন্তা করি! আমরা কোন প্রকারের অন্তর্ভুক্ত? আমাদের রাগ দ্রুত আসে না দেরিতে, আর যখন রাগ আসে তখন তা দ্রুত চলে যায় নাকি অনেকক্ষণ পর, অনেক ক্ষতি করার পর শান্ত হয়? যদি আল্লাহ না করুক, আমাদের রাগ দ্রুত আসে এবং দেরিতে, ক্ষতি করার পর শান্ত হয়, তবে এই অভ্যাসটি যত দ্রুত সম্ভব দূর করা খুবই জরুরি, নইলে অনেক ক্ষতি হতে পারে।

জাহান্নামের বিশেষ দরজা

প্রিয় আকা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: জাহান্নামের একটি দরজা আছে, যেখান দিয়ে কেবল তারাই প্রবেশ করবে যাদের রাগ আল্লাহ পাকের নাফরমানির পরেই ঠান্ডা হয়। (শু'আবুল ঈমান, খণ্ড: ৬, পৃষ্ঠা: ৩২০, হাদীস: ৮৩৩১)

রাগের ক্ষতিসমূহ

যখন রাগ আসে, তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। রাগ দমন করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। অন্যথায় এর অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত (دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ) লিখেছেন: রাগের কারণে অনেক মন্দ কাজের জন্ম হয় যা আখিরাতের জন্য ধ্বংসাত্মক। যেমন: * হিংসা * গীবত * চোগলখোরি * বিদ্বেষ * সম্পর্ক ছিন্ন করা * মিথ্যা * বেইজ্জতি করা (অর্থাৎ অপমান করা) * অন্যকে তুচ্ছ মনে করা * গালিগালাজ * অহংকার * অন্যায়ভাবে মারধর * উপহাস করা * আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা * শামাতাত (অর্থাৎ কারও ক্ষতিতে খুশি হওয়া) * উপকার