Book Name:Aal e Nabi Ke Fazail
আশ্রয়ের কারণ। (ফাযায়িলুস সাহাবা লি আহমদ বিন হাম্বল, ফাযায়িলু আলা, ২/৫৭১, হাদিস: ১১৪৫) এক বর্ণনায় আছে: আমার আহলে বাইত যমিনবাসীর জন্য আমান, যখন আমার আহলে বাইত থাকবে না, তখন যমিনবাসীর উপর সেইসব নিদর্শন প্রকাশ হয়ে যাবে, যার ওয়াদা তাদের সাথে করা হয়েছে। (আশশারফুল মুয়াব্বাদ লি আলে মুহাম্মদ, মাক্বসুদিল আউয়াল, ফসলু ক্বওলা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আহলে বাইতী আমানু লি উম্মতী, ৩২ পৃ:)
উলামায়ে কিরাম বলেন: দুনিয়া থেকে সাদাতে কিরামের বিদায় নেওয়া কিয়ামতের নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি। অর্থাৎ যখন দুনিয়াতে একজনও সৈয়দজাদা উপস্থিত থাকবেন না, তখনই কিয়ামত আসবে। আর এর হিকমত হলো, কিয়ামত সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোকদের উপর আসবে, যেখানে সাদাতে কিরাম দুনিয়ার সর্বোত্তম লোক। (আশশারফুল মুয়াব্বাদ লি আলে মুহাম্মদ, মাক্বসুদিল আউয়াল, ফসলু ক্বওলা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আহলে বাইতী আমানু লি উম্মতী, ৩৩ পৃ:, সারসংক্ষেপ)
আওলাদে পাকের প্রতি ভালোবাসা ফরয
হে আশিকানে সাহাবা ও আহলে বাইত! মনে রাখবেন! আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আওলাদে পাকের ভালোবাসা দ্বীনের অংশ। অতএব, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সকল শাহজাদা, সকল শাহজাদীর সাথে ভালোবাসা ও ভক্তি রাখা, হাসনাইন করীমাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যত সৈয়দজাদা তথা আউলাদে রাসূল আছেন, তাদের সকলের সাথে ভালেবাসা রাখা, তাদের সম্মান করা, তাদের ইজ্জত করা আমাদের সকলের উপর অপরিহার্য। আল্লাহ পাক কুরআন করীমে ইরশাদ করেন:
قُلْ لَّاۤ اَسْـَٔلُکُمْ عَلَیْہِ اَجْرًا اِلَّا الْمَوَدَّۃَ فِی الْقُرْبٰی
(পারা ২৫, সূরা শূরা, আয়াত ২৩) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আপনি বলুন, ‘আমি সেটার জন্য তোমাদের নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক চাই না, কিন্তু নিকটাত্বীয়তার ভালোবাসা।
আল্লামা বাগভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লিখেন: এই আয়াতে করীমার একটি অর্থ হলো, (হে লোকসকল! আমি তোমাদের দ্বীন শেখাই, তোমাদের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ তোমাদের পর্যন্ত পৌঁছাই) এর জন্য আমি তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার প্রতিদান,