Book Name:Aal e Nabi Ke Fazail
আয়াতুল কুরসী এক (১) বার, সূরা ইখলাস সাত (৭) বার, তারপর আবার "দরূদে গাউসিয়া" সাত (৭) বার এবং সময় ও সুযোগ থাকলে সূরা ইয়াসীন ও সূরা মুলকও পাঠ করে আল্লাহ পাকের নিকট দোয়া করবেন যে, ‘হে আল্লাহ! এই কিরাতের উপর আমাকে এমন সাওয়াব দিন যা আপনার অনুগ্রহের শান অনুযায়ী, ততটুকু নয় যা আমার আমলের শান অনুযায়ী। এবং এটিকে আমার পক্ষ থেকে এই মকবুল বান্দার প্রতি উপহার হিসেবে পৌঁছিয়ে দিন।’ তারপর নিজের জায়িয ও শরীয়তসম্মত মনোবাসনার জন্য দোয়া করবেন এবং সাহেবে মাযারের রূহকে আল্লাহ পাকের দরবারে নিজের জন্য ওসীলা পেশ করবেন। তারপর সেভাবেই সালাম করে ফিরে আসবেন। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৯/৫২২) * হাযিরির আদবের প্রতি খেয়াল রেখে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মাযারে হাযিরা দিন। * যথাসম্ভব ওযূ অবস্থায় থাকুন। * হাযিরির জন্য যাওয়ার সময় ওযূ করে যান এবং যিকির ও দরূদের মাধ্যমে নিজের জিহ্বাকে সতেজ রাখুন। (মাযারাতে আউলিয়ার হিকায়াত, ৭ পৃ:)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
শত্রুদের কষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া
দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা ইজতেমার সিডিউল অনুযায়ী "শত্রুদের কষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া" মুখস্থ করানো হবে। সেই দোয়াটি হলো:
@@@@@@@
অনুবাদ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের যালিম সম্প্রদায়ের জন্য পরীক্ষার বস্তু বানাবেন না এবং আপনার রহমত দ্বারা আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দান করুন। (ফয়যানে দোয়া, ২৫৫ পৃ:)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
সম্মিলিতভাবে পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: (আখিরাতের বিষয়ে) এক মুহূর্তের জন্য চিন্তা ভাবনা করা ৬০ বছরের (নফল) ইবাদত থেকে উত্তম।
(জামিউস সগীর লিস সুয়ুতী, পৃষ্ঠা- ৩৬৫, হাদীস নং-৫৮৯৭)
আসুন! নেক আমলের পুস্তিকা পূরণ করার আগে “ভালো ভালো নিয়্যত” করে নিই।