Book Name:Aal e Nabi Ke Fazail
এরপর এটাও মনে রাখতে হবে যে, সাদাতে কিরামের মধ্যে যারা উঁচু মর্যাদাসম্পন্ন ওলী আল্লাহ, যেমন বিবি ফাতিমাতুয যাহরা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا, ইমাম হাসান ও হোসাইন رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا, এইভাবে হুযুরে গাউসে পাক শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী, হুযুর দাতা গঞ্জ বখশ আলী হাযভেরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِمَا প্রমূখ, এরা তো গুনাহ থেকে সুরক্ষিত। অন্যান্য সাদাতে কিরামদের থেকে গুনাহ হয়ে তো যায়, কিন্তু اِنْ شَآءَ الله প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ওসিলায় তাদের গুনাহের জন্য পাকড়াও হবে না। এই প্রসঙ্গে আশিকে সাহাবা ও আহলে বাইত, আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর দুটি বরকতময় বাণী শুনুন!
(১) প্রত্যেক বিশুদ্ধ বংশীয় সৈয়্যদ (অর্থাৎ ওই সৈয়্যদ, যিনি প্রকৃতপক্ষে ইলমে ইলাহীতে হাসনাইনে করীমাইনের আওলাদ) নবীয়ে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র দেহের অংশ। আর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র দেহের কোনো অংশই জাহান্নামের উপযুক্ত নয়।
(ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ১৫/৭৩৮)
(২) অন্য এক জায়গায় তিনি বলেন: হ্যাঁ! ঈমান সালামত (ঈমান নিরাপদ) থাকার শর্তে (অর্থাৎ যে সৈয়্যদজাদার ঈমান নিরাপদ) তার আমল যেমনই হোক না কেন, আল্লাহ পাকের অনুগ্রহের দৃঢ় আশা এটাই যে, যারা তাঁর ইলমে সৈয়্যদ, তাদের কাছ থেকে কোনো গুনাহের জন্য আল্লাহ পাক কোনো জবাবদিহি করবেন না। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৯/৬৪০)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
যা! তুই নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে নিলি
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবীয়ে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শিঙ্গা লাগালো এবং তাঁর শরীর মুবারক থেকে যে রক্ত বের হলো, তা দেয়ালের পেছনে গিয়ে পান করে নিলো। তিনি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলেন যে রক্তগুলো কী করেছো? তখন সে আরয করল: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আপনার রক্ত মুবারক ছিল, আমি তা মাটিতে ফেলে দেওয়া পছন্দ করিনি, এখন তা আমার পেটে। এ কথা শুনে তিনি বললেন: যা! তুই নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে নিলি।