Khwaja Gareeb Nawaz Aur Neki Ki Dawat

Book Name:Khwaja Gareeb Nawaz Aur Neki Ki Dawat

সমরকন্দে যান, সেখানে কুরআনে করীম হিফয করেন। (ইকতিবাসুল আনোয়ার, ৩৪৭ পৃষ্ঠা) এবং মাওলানা শরফুদ্দিন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নিকট দ্বীনি জ্ঞানার্জন করেন। খাজা সাহেব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ যতেই দ্বীনি জ্ঞানার্জন করতেন ততই জ্ঞানের তৃষ্ণা আরো বেড়ে যেতো, সুতরাং সমরকন্দে জ্ঞানার্জন করে তিনি বুখারায় চলে আসেন এবং সেখানকার বিখ্যাত আলেমে দ্বীন শায়খ হুসসামুদ্দিন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন, প্রায় ৫ বছরের সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি সেই সময়ের প্রচলিত জ্ঞানসমূহ শিখে শিক্ষা সমাপ্ত করেন, বাহ্যিক জ্ঞান শিখে নেয়ার পর তিনি অভ্যন্তরীণ জ্ঞানের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং হযরত খাজা উসমান হারওয়ানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নিকট বাইয়াত গ্রহন করেন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রায় ২০ বছর যাবত পীর সাহেবের খেদমতে উপস্থিত থেকে মারিফতের পথ অতিক্রম করতে থাকেন।

(মিরআতুল আসরার, ৫৯৪ পৃষ্ঠা)

খাজা সাহেবের প্রতি পীরে কামিলের অনুগ্রহসমূহ

            খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি বাগদাদ শরীফে খাজা জুনাইদের মসজিদে আমার পীর ও মুর্শিদ হযরত খাজা উসমান হাওয়ানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খেদমতে উপস্থিত হলাম, তখন সারা পৃথিবীর বড় বড় মাশায়িকগণ তাঁর পাশে উপস্থিত ছিলেন, আমি পীরে কামিলের আদব বজায় রাখলাম, পীর ও মুর্শিদ বললেন: দুই রাকাত নামায আদায় করো! আমি নামায আদায় করলাম। অতঃপর বললেন: কিবলামুখী হয়ে বসে পড়ো! আমি বসে গেলাম। আদেশ হলো: সূরা বাকারা তিলাওয়াত করো! আমি সূরা বাকারা তিলাওয়াত শুরু করে দিলাম, শেষ হলে আদেশ করলেন: ২১বার দরূদ শরীফ পড়ো! আমি দরূদ শরীফ পড়লাম। এরপর বললেন: আমার এখোনে একদিন এবং একরাতের মুজাহেদা হয়ে থাকে, সুতরাং একদিন ও একরাত ইবাদতে মগ্ন থাকো! খাজা সাহেব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি একদিন এবং একরাত ইবাদতে অতিবাহিত করলাম, পরদিন পীর ও মুর্শিধের খেদমতে উপস্থিত হলাম, তখন বললেন: আসমানের দিকে তাকাও! আমি আসমানের দিকে তাকালাম, বললেন: কতটুকু দেখতে পারছো? আমি আরয করলাম: আরশে আযীম পর্যন্ত। পীর ও মুর্শিদ বললেন: জমিনের দিকে তাকাও! আমি জমিনের দিকে তাকালাম। জিজ্ঞাসা করলেন: কতটুকু দেখতে পারছো? আমি আযর করলাম: তাহতুস সরা (অর্থাৎ জমিনে সর্বনিম্ন অংশ) পর্যন্ত। আদেশ হলো: একহাজার বার সূরা ইখলাস পড়ো! আমি সূরা ইখলাস পড়া শুরু করে দিলাম, যখন শেষ হলো তখন বললেন: এবার আসমানের দিকে তাকাও! আমি আসমানের দিকে তাকালাম। জিজ্ঞাসা করলেন: কতটুকু দেখছো? আমি আরয করলাম: হিজাবে আযমত পর্যন্ত। বললেন: চোখ বন্ধ করো। আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম, বললেন: খোল! আমি চোখ খুললাম, এবার পীর ও মুর্শিদ তাঁর আঙ্গুলের দিকে তাকাতে বললেন, আমি তাকালাম, তখন আমি ১৮ হাজার জগত দেখে নিলাম।

 

            এবার পীর ও মুর্শিদ খাজা উসমান হারওয়ানি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ পাশের পরে থাকা একটি ইট তুলে নিতে আদেশ দিলেন, আমি ইট তুলে নিলাম তখন এর নিচে আশরাফির (অর্থাৎ স্বর্ণমুদ্রা) স্তুপ পরে