Khwaja Gareeb Nawaz Aur Neki Ki Dawat

Book Name:Khwaja Gareeb Nawaz Aur Neki Ki Dawat

دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ কে মঙ্গলময় দীর্ঘায়ু দান করো এবং অলীদের প্রতি ভালোবাসার এই ফয়যান এভাবেই অব্যাহত রাখো اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ষষ্ঠ হিজরী শতাব্দীর অনেক উচ্চ মর্যাদার মনিষী, তিনি ৫৩৭ হিজরীতে সাজিস্তানের সানজার এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন, এই কারণেই তাঁকে সানজীরি বলা হয়। খাজা সাহেব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুবারক নাম হলো হাসান ও মঈনুদ্দিন, গরীবে নেওয়ায, সুলতানুল হিন্দ, ওয়ারিসুন নবী, আতায়ে রাসূল তাঁর প্রসিদ্ধ উপাধি। (ফয়যানে খাজা গরীবে নেওয়ায, - পৃষ্ঠা) “খাজা” ফার্সি ভাষার শব্দ, এর অর্থ: সর্দার, মুনিব (ফিরোযুল লুগাত, ৬৩৩ পৃষ্ঠা)

 

            খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হলেন নাজীবুত তারফাইন অর্থাৎ পিতা ও মাতা উভয় দিক থেকে সৈয়দজাদা, ১২ জন পূর্বপুরুষের মাধ্যমে তাঁর বংশধারা মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা আমীরুল মু‘মিনীন মাওলা আলী মুশকিল কোশা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সাথে মিলিত হয়।

(ফয়যানে খাজা গরীবে নেওয়ায, পৃষ্ঠা)

 

            খাজা গরীব নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ পৃথিবীতে ৯৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ৬ রজব ৬৩৩ হিজরী, রোজ সোমবার, ফজরের সময় মুরিদরা অপেক্ষায় ছিলো যে, পীর ও মুর্শিদ আসবেন, ফজরের নামায পড়াবেন, কিন্তু হযরত খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আসলেন না, অনেকক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর হুজরার দরজা খুলে দেখলো, তখন বিরহের সমুদ্র জোয়ার এসে গেলো, খাজায়ে খাজেগান, সুলতানুল হিন্দ, খাজা গরীবে নেওয়ায, মঈনুদ্দিন হাসান সানজীরি চিশতী আজমেরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ইন্তিকাল করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ঈমানোদ্দীপক দৃশ্য নিজের চোখে দেখলো যে, খাজা সাহেব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কপালে লেখা ছিল: حَبِيبُ اللَّهِ مَاتَ فِي حُبِّ اللَّهِ আল্লাহর প্রিয় বান্দা, আল্লাহর প্রেমে ইহকাল ত্যাগ করলো খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মাজার মুবারক ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজস্থানের প্রসিদ্ধ শহর আজমীরে অবস্থিত। (ফয়যানে খাজা গরীবে নেওয়ায, ২৫-২৬ পৃষ্ঠা)

 

দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা

            খাজা গরীবে নেওয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দ্বীনি জ্ঞানকে অত্যধিক ভালোবাসতেন, তার বয়স যখন ১৫ বছর ছিলো, তখন শ্রদ্ধেয় পিতার ছায়া মাথা থেকে উঠে যায়, উত্তরাধিকার সূত্রে একটি বাগান এবং একটি বায়ুকল (অর্থাৎ পানি দ্বারা চালিত চাক্কি) পেলে, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বাগান বিক্রি করে দিলেন, বায়ুকলও বিক্রি করলেন আর অবশিষ্ট যা সরঞ্জামাদি ছিলো সব বিক্রি করে দেন, বিক্রিত মূল্য গরীব, অভাবীদের মাঝে সদকা করে দেন এবং দ্বীনি জ্ঞানের পথের মুসাফির হয়ে গেলেন প্রথমে তিনি