$header_html

Book Name:Khareed o Farokht Ki Chand Ahtiyatein

 

যুহদ (দুনিয়াবর্জন) সম্পর্কিত অনন্য কিতাব

            ইমামে আযম, ইমাম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ র অত্যন্ত যোগ্য শিষ্য ইমাম মুহাম্মদ বিন হাসান শায়বানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে একবার অনুরোধ করা হলো- জনাব, আপনি দুনিয়াবর্জন সম্পর্কিত একটি কিতাব লিখে দিন তিনি বললেন, আমি তো এই বিষয়ে কিতাব আগেই লিখে ফেলেছি। জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন কিতাব? বললেন, কিতাবুল বিয়ূউ’ অর্থাৎ আমার ঐ কিতাব, যাতে কেনাবেচার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।

(আল মাবসূত্ব লিল সারখাসী, কিতাবুল বুয়ূউ’, অংশ ১২, ৬/১২৮)

 

            অর্থাৎ যে কেনাবেচার বিধান জানে না, সে হারাম থেকে বাঁচতে পারবে না যে হারাম থেকে বাঁচতে পারবে না, সে যাহিদ (দুনিয়াবর্জনকারী) কীভাবে হবে? জানা গেলো, প্রকৃত যাহিদ, দুনিয়া অনাসক্ত, দুনিয়ার ভালবাসা বর্জনকারী, মুত্তাকী, পরহেযগার - হলো সেই, যে কেনাবেচায় শরঈ বিধান পালন করতে সক্ষম প্রকৃতপক্ষে বাজার হলো এমন স্থান যেখানে দুনিয়া ও ধন-সম্পদের ভালবাসা পরিলক্ষিত হয়পাহাড় ও গুহায় একাকী ইবাদত করা তুলনামুলক সহজ কিন্তু বাজারে - যেখানে শয়তান তার পুরো বাহিনী নিয়ে আক্রমন করে, নফসে আম্মারা উত্যক্ত করে, ধন ও সম্পদের ভালবাসা শক্তিশালী হয়, সেখানে নফস ও শয়তানের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থেকে পরিপূর্ণ সততা এবং শরঈ আহকাম প্রতিপালন খুবই কঠিন অতএব, আসল যাহিদ (দুনিয়াবর্জনকারী), দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত হলো সেই, যে দুনিয়া থেকে নিজের অন্তরকে দুনিয়া থেকে সরক্ষত রাখে

 

            প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা, আমাদের কর্তব্য হলো ভালো এবং খাঁটি ব্যবসায়ী হওয়া এবং প্রকৃত গ্রাহক হওয়া। আসুন, হালাল ব্যবসা করা সৌভাগ্যবান ব্যবসায়ীর ফযীলত সম্পর্কিত কয়েকটি হাদীস শুনি -

 

(১) আমানতদার ব্যবসায়ী আম্বিয়া কিরামের সাথে থাকবে

            আল্লাহসর্বশেষ নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, اَلتَّاجِرُ الصَّدُوْقُ الْاَمِينُ مَعَ النَّبِیّٖن ، وَالصِّدِّيْقِيْنَ، وَ الشُّهَدَاءِ সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন সম্মানিত নবীগণ, সিদ্দিক্বগণ এবং শহীদগণের সাথে থাকবেবে। (তিরমিযী, কিতাবুল বুয়ূউ, পৃষ্ঠা ৩১৬, হাদীস ১২০৯)

 

(২) দুনিয়ার সম্পদ হালাল উপায়ে উপার্জনকারীর ফযীলত

            তিরমিযী শরীফের হাদীসে রয়েছে - রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, اِنَّ التُّجَّارَ يُحْشَرُوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فُجَّارًا اِلَّا مَنِ اتَّقَى وَبَرَّ وَصَدَقَ অর্থাৎ কিয়ামতের দিন সকল ব্যবসায়ীকে বদকার হিসেবে তোলা হবে কিন্তু - যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে, নেকী ও কল্যাণ করে এবং সত্য বলে- তারা ব্যতীত। (তিরমিযী, কিতাবুল বুয়ূউ, পৃষ্ঠা ৩১৬, হাদীস ১২১০)

 

            প্রসিদ্ধ মুফসসীরে কুরআন, হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খান নাঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, তাক্বওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বিশেষত কবীরা গুনাহ আর সাধারণত সগীরা



$footer_html