Book Name:Ya ALLAH Mein Hazir Hon
দূর দূরান্ত সফর করে গরম এবং তীব্র তাপের পরওয়া না করে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে গেছি।
মোটকথা এটা কতইনা সুন্দর ও প্রেমময় ধরন, এটাতে আল্লাহ পাকের ভালোবাসার কেমন ঝলক পাওয়া যায়, বান্দী আপন প্রতিপালকের দরবারে আরয করে لَبَّيْك اَللّٰھُمَّ لَبَّيْك (অর্থাৎ আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ পাক! আমি উপস্থিত)।
মাই মাক্কে মে ফির আগেয়া ইয়া ইলাহি
মুঝে বখশ দে বে সবব ইয়া ইলাহি
(ওয়াসাইলে বখশিষ, পৃঃ১০৭)
তালবিয়ার ফযীলতের উপর তিনটি হাদিস
(১) আমাদের প্রিয় আকা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَا مِنْ مُلَبٍّ يُلَبِّي إِلَّا لَبَّى مَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ مِنْ شَجَرٍ وَّحَجَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الْأَرْضُ هَاهُنَا وَهَاهُنَا অর্থাৎ যখন তালবিয়া (অর্থাৎ لَبَّيْك اَللّٰھُمَّ لَبَّيْك) পাঠকারী তালবিয়া পাঠ করে তখন তার সাথে সাথে তার ডানে (Right) এবং বামে (Left) পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যতগুলি গাছ রয়েছে পাথর রয়েছে সকলে তালবিয়া পাঠ করে।
(সহীহ ইবনে খুযায়মা, পৃঃ৬০১, হাদিস: ২৬৩৪)
(২) এক হাদিস শরীফে রয়েছে, রাসুলে আকরম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ مَنْ اَضْحٰى يَوْماً مُحْرِماً مُلَبِّياً حَتَّى غرَبَتِ الشَّمْسُ غَرَبَتْ بِذُنُوبِهِ فَعَادَ كَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّهُ অর্থাৎ যে ব্যাক্তি এ অবস্থায় সকাল করলো যে, সে ইহরাম পরিহিত অবস্থায় ছিলো, তালবিয়া পাঠ করছিলো (এবং সারাদিন এই অবস্থায় ছিলো) এমনকি সূর্যাস্ত হয়ে গেলো, তবে এই যে সূর্য অস্ত হয়েছে এটা তার গোনাহ নিয়েই ডুবে গেছে এবং এই বান্দাহ এমন হয়ে গেছে যেনো তার মা তাকে জন্ম দিয়েছে। (জামে সগীর, পৃঃ৫১৫, হাদিসঃ৮৪৬১)
(৩) নবী করিম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: তিনটি আওয়াজ এমন যেগুলোর উপর আল্লাহ পাক ফেরেস্তাদের সামনে গর্ব করেন (১) আজানের আওয়াজ (২) আল্লাহর রাস্তায় তাকবির অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলার আওয়াজ (৩) তালবিয়া পাঠ করার বড় আওয়াজ।
(জামে সগীর, পৃঃ২১১, হাদিসঃ৩৪৯২)