পৃষ্ঠে চলে আসলো, হযরত ইব্রাহিম বিন আদহাম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন আমি এগুলো চায় না আমি আমার সূঁইটি চায়, তখন একটি মাছ তার মুখে করে হযরত ইব্রাহিম বিন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর সূঁইটি নিয়ে উপস্থিত হয় তিনি তার থেকে সূঁইটি নিয়ে নিলেন এবং ঐ ব্যাক্তিকে বললেন হে লোক! আমি রাজত্ব ছেড়ে এটা পেয়েছি। (তাযকেরাতুল আউলিয়া, পৃঃ ৮২)

আল্লাহ পাকের রহমত অঝোর ধারায় বর্ষন হয়ঃ

    এটা বাস্তব যখন মানুষ বাস্তবিকই কার্যতভাবে এটা বলে দেয় لَبَّيْك اَللّٰھُمَّ لَبَّيْك, অতঃপর সব কিছু ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর হয়ে যায়, যখন মানুষ স্বীকার করে নেয় আমি উপস্থিত, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত, শুধুমাত্র এই সকল কাজেই ব্যস্ত থাকে যা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি মূলক, যে সকল কাজ থেকে আল্লাহ পাক নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকে, জান্নাতের রাস্তায় চলে, জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ থেকে বিরত থাকে তখন রাব্বে করীম পূণরায় দয়া করেন। বুখারী শরীফে একটি হাদিসে কুদসী রয়েছে, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, إِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ بِشِبْرٍ تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا অর্থাৎ যদি বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই, وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا আর যদি বান্দা আমার দিকে একগজ অগ্রসর হয় আমি তার দিকে এক মাইল অগ্রসর হই, وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَة আর যদি বান্দা আমার দিকে হেটে আসে তখন আামর রহমত তার দিকে দৌড়ে যায়। (বুখারী, পৃঃ ১৭৮৭, হাদিস: ৭৪০৫)

    উদ্দেশ্য হলো যখন মানুষ আল্লাহ পাকের সন্তষ্টিমুলক কাজের দিকে সামান্য কদম উঠায় আল্লাহ পাকের রহমত সর্বাধিক হয়ে আসে। যখন মানুষ এক বিঘত পরিমান আল্লাহর সন্তষ্টি মুলক কাজের দিকে অগ্রসর হয় তখন আল্লাহ পাকের রহমত এক গজ পরিমান তার দিকে অগ্রসর হয়, যখন মানুষ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি মুলক কাজে একগজ অগ্রসর হয় তখন আল্লাহ পাকের রহমত এক মাইল সমপরিমান (অর্থাৎ এর চেয়ে অনেক গুন বেশি তার দিকে অগ্রসর হয়) যখন মানুষ ধীরে ধীরে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিমুলক কাজের দিকে অগ্রসর হয় তখন তার রহমত মানুষের প্রতি দৌড়ে আসে। একটু অনুমান করুন এটা কেমন সৌভাগ্যের বিষয়...আমরা আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি মুলক কাজের দিকে অগ্রসর হই তখন আল্লাহ পাকের রহমত দেখুন আমাদের উপর কিভাবে বর্ষন হয়।