Book Name:Ittiba e Shehwat Ki Tabah Kariyan
প্রবৃত্তিসমূহ জেগে উঠে এবং এর ফলে গুনাহের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।
হযরত ইয়াহয়া মুআয রাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে পেট ভরে খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার শরীরে মাংস বেড়ে যায়। যার শরীরে মাংস বেড়ে যায়, সে প্রবৃত্তি পুজারী হয়ে পড়ে। যে প্রবৃত্তি পুজারী হয়ে যায়, তার গুনাহ বেড়ে যায়।যার গুনাহ বেড়ে যায় তার অন্তর কঠোর হয়ে যায়।যার অন্তর কঠোর হয়ে যায় সে দুনিয়ার ঝঞ্ঝাট রং তামাশার মধ্যে লিপ্ত হয়ে যায়। (মুনবিহাতুল আসক্বালানী, ৯ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অত্যন্ত উদ্বেগের কথা হলো পেট ভরে খাওয়া মানুষকে গুনাহে লিপ্ত করে দেয়। যেমন হযরত ইমাম মুহাম্মাদ গাজ্জালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: বেশী খেলে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ফিতনা সৃষ্টি হয়। ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার এবং অনর্থক কাজ করে ফেলার আগ্রহ তৈরি হয়। কারণ, যখন মানুষ খুব পেট ভরে খায়, তখন চোখে কুদৃষ্টির আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়, কান খারাপ কথা শুনতে আগ্রহী হয়ে থাকে, মুখ নোংরা কথাবার্তা বলতে সম্মত হয়, লজ্জাস্থান কুপ্রবৃত্তি পূরনের প্রত্যাশা করে। পা নাজায়িয স্থানসমূহে যাওয়ার জন্য অধৈর্য হয়ে পড়ে, এর বিপরীতে যদি মানুষ ক্ষুধার্ত হয়, তাহলে সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শান্তিপূর্ণ থাকবে, কোনো খারাপ কাজের লালসায় পড়বেনা, খারাপ কিছু দেখে আনন্দিত হবেনা, হযরত আবু জা'ফর উস্তায বলেন: পেট ক্ষুধার্ত হলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শান্তিপূর্ণ থাকে, কোনো জিনিসের আকাঙ্ক্ষা করেনা, যদি পেট ভর্তি থাকে তাহলে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষুধার্ত থাকার ফলে বিভিন্ন খারাপ কাজের দিলে প্রত্যাবর্তন করে।
(মিনহাজুল আবিদীন, ৫ম পরিচ্ছেদ, আল বাত্বানু ওয়া হিফযুহু, ৮৬ পৃষ্ঠা) (ফয়যানে সুন্নাত, ৭০৯ পৃষ্ঠা)