Book Name:Surah Fatiha
পারবেন? একজন সাহাবী বললেন: হ্যাঁ! আমি সেই ব্যক্তিকে ফুঁক দিবো। সুতরাং সেই সাহাবী ঐ ব্যক্তির সাথে চলে গেলেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করে রোগীর উপর ফুঁক দিলেন, যার বরকতে রোগী আরোগ্য লাভ করলো।
(বুখারী, ৫৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২২৭৬)
হযরত খারিজা বিন সালাত رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার সম্মানিত চাচার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি রাসুলে আকরাম নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র খেদমতে উপস্থিত হলাম, সেখান থেকে ফিরে আসার সময় আমি এক সম্প্রদায়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেখানে একজন পাগল ছিলো, যাকে তারা লোহা দিয়ে বেঁধে রেখেছিলো, তারা আমাকে বললো: তুমি কি তাকে সুস্থ করতে পারবে? সুতরাং আমি সূরা ফাতিহা ৩ দিন সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করে তার উপর ফুঁক দিলাম, ফলে সে পাগল ব্যক্তি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলো। (মু'জামুল কবীর, ৭/৮৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৩৯৪৪)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! উল্লেখিত দুটি ঘটনা থেকে জানা গেলো, পবিত্র কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করা, পবিত্র কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে ফুঁক দেয়া, সেগুলো লিখে তাবিজ বানানো ইত্যাদি সম্পূর্ণ জায়িয। সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ও ফুঁক দিতেন এবং অপরকেও শিক্ষা দিতেন।
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: প্রিয় নবী, রাসুলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে বদনজর (নিরাময়ের জন্য) ফুঁক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী, ১৪৫১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫৭৩৮)
একটি হাদীসে উল্লেখ রয়েছে, যখন আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তেন, তখন তিনি পবিত্র
কুরআনের শেষ দুটি সূরা (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়ে ফুঁক দিতেন।
(মুসলিম, ৮৬৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২১৯২)
একবার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام কতিপয় বাক্য পাঠ করে তাঁর উপর ফুঁক দেন।
(মুসলিম, ৮৬৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২১৮৫)