Book Name:Surah Fatiha
سُبْحٰنَ الله! জানা গেলো, কুরআনের আয়াত ও পবিত্র বাক্যসমূহ পাঠ করে ফুঁক দেয়া আমাদের প্রিয় নবী পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ও সুন্নাত, সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ’রও সুন্নাত এবং ফেরেশতাদের সর্দার হযরত জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام ‘র সুন্নাত।
হ্যাঁ! কতিপয় হাদীসে তাবিজ পরিধান করা নিষিদ্ধ বলা হয়েছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সেসব তাবিজ যাতে নাজায়িয শব্দ থাকে যা কিনা জাহিলিয়াতের যুগে করা হতো। তাছাড়া কুরআনের আয়াত, পবিত্র শব্দ, আল্লাহর বরকতময় নাম এবং বিভিন্ন দোয়ার মাধ্যমে ফুঁক দেয়া অথবা কাগজে লিখে বা লিখিয়ে গলায় পরা সম্পূর্ণ জায়িয।
(বাহারে শরীয়ত, ৩/ ৪১৯-৪২০ পৃষ্ঠা, অধ্যায়: ১৬)
রূহানী চিকিৎসার মন-মানসিকতা সৃষ্টি করুন
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! اَلْحَمْدُ لِلّٰه সমগ্র কুরআন বিশেষ করে সূরা ফাতিহা প্রতিটি রোগের নিরাময়। আমরা ডাক্তারের কাছে যায়, হাকিম ও ডাক্তারদের মাধ্যমে চিকিৎসা করি, এতে শরীয়ত বিরোধী কিছু না থাকলে এই চিকিৎসা করা নিঃসন্দেহে জায়িয। তবে আমাদেরকে রূহানী চিকিৎসার মন-মানসিকতা সৃষ্টি করা উচিৎ। আল্লাহ পাকের আখেরী নবী, صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন, মাখলুকের প্রশংসার পূর্বে আল্লাহ পাক নিজেই নিজের প্রশংসা করেছেন, সেই প্রশংসার মাধ্যমে চিকিৎসা করো, সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সেটি কোন প্রশংসা? ইরশাদ করলেন, সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস। অতঃপর তিনি বললেন: فَمَنْ لَمْ یَشْفِہِ الْقُرْآنُ فَلَا شَفَاہُ اللهُ অর্থাৎ যার কুরআন দ্বারাও আরোগ্য হয় না, আল্লাহ তাকে আরোগ্য দান করেন না। (তাফসীরে দুররে মনসুর ১ম পারা, সূরা ফাতিহা, ১/১৭ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! শুনলেন তো! পবিত্র কুরআন, বিশেষ করে সূরা ফাতিহার মাধ্যমে আরোগ্যলাভ সম্পর্কে কত স্পষ্ট হাদীস উল্লেখ রয়েছে। আমাদের মন-মানসিকতা তৈরি করা উচিৎ * জ্বর * মাথাব্যথা, * শরীরের কোথাও ব্যথা * ডায়াবেটিস
* কোলেস্টেরল * হৃদরোগ, ক্যানসার মোটকথা যতই ছোট হোক কিংবা যতই বড় হোক যেকোনো রোগের চিকিৎসা পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে করুন। اِنْ
شَآءَ الله! আল্লাহ পাক দয়া করবেন এবং আল্লাহ পাক চাইলে আরোগ্য লাভ হবে।