Sila Rehmi

Book Name:Sila Rehmi

    তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবুয়ত, صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: সম্পর্ক রক্ষাকারী সে নয়, যে এই অদল-বদলটি করে কিন্তু সম্পর্ক রক্ষাকারী সে, যখন তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন  হয়, কিন্তু সে তা  সংযুক্ত করে (বুখারী, /৯৮, হাদীস: ৫৯৯১) অন্য আর এক হাদীসে পাকে রয়েছে: সমস্ত লোকদের সাথে একত্রিত হয়ো না, যারা এটা বলে যদি মানুষ আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে আমরাও ভাল আচরণ করবো এবং যদি মানুষ আমাদের প্রতি অত্যাচার করে, তবে আমরাও প্রতিশোধ মূলক অত্যাচার করবো বরং নিজেকে কথার অভ্যস্ত করুন যে, মানুষ যদি ভালো আচরণ করে তবে তোমরাও তার সাথে ভালো আচরণ করো, আর যদি লোকেরা তোমার সাথে খারাপ আচরণ করে তখনো তোমরা জুলুম করো না(তিরমিযী, /৪০৫, হাদীস: ২০১৪)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    প্রিয় ইসলামী বোনেরা! উভয় হাদীস যা এইমাত্র আমরা শুনলাম, তা থেকে জানতে পারলাম যে, আত্মীয়তার বন্ধনের সঠিক উদ্দেশ্য হলো  এটাই যে, যদি আমাদের উপর জুলুমও করে তার পরও আমরা তাকে ক্ষমা করে দিবো আমাদের উচিৎ, যদি আমাদের আত্মীয় যে আমাদের কাছ থেকে বিমুখ হয়ে রয়েছে, বছরের পর বছর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে অথবা সামান্য কথাতে সম্পর্ক ছিন্ন করে রেখেছে তবে আমাদের তাদেরকে গিয়ে বুঝানো উচিৎ এবং ক্ষমা চাওয়া উচিৎ

    এটা বাস্তব যে, এগুলো আমাদের নফসের জন্য খুব কঠিন হবে, আর শয়তান কখনো একে অপরের মাঝে মীমাংসা করতে দিবে না এবং আমাদের মনে বিভিন্ন ধরণের কুমন্ত্রণা দিবে যে, কেন আমি এর ঘরে যাবো? যে আমাদের ঘরে পা রাখতে চায় না বা যে আমাদের দাওয়াত প্রত্যাখান করে, আমরা কেন তার দাওয়াত গ্রহণ করবো? যে আমদের কারো নিকটেই আসতে চায়না, আমরা কিভাবে তার কাছে যেতে পারি? প্রত্যেকবার আমরাই কেন প্রথমবার কববো? শেষ পর্যন্ত আমরা কতটুকু নিচু হবো? ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ধরণের অনেক কুমন্ত্রণা মনে আসবে, কিন্তু মনে রাখবেন! এটা পরীক্ষার সময়, আমরা নিজের নফসের কথা শুনে নিজের আখিরাত নষ্ট করছি নাকি নিজের নফসকে দমন করে আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  এর হুকুম সমূহের উপর আমল করে নিজের আখিরাতের সর্বোত্তম সরঞ্জাম তৈরী করছি। এজন্য সাহস