Book Name:Tazeem e Mustafa Kay Waqiaat
আর হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছে তাবু খাটালেন। হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌঁছে হুযুর صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দেখলেন যে, কুরাইশের কাফেররা লড়াই করার জন্য প্রস্তুত এবং এদিকে মুসলমানদের অবস্থা এমন যে, সবাই ইহরাম পরিহিত অবস্থায়, হুযুর পুরনূর صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মক্কার কাফেরদের সাথে সন্ধির আলোচনা করার জন্য কাউকে মক্কায় পাঠানো সমীচীন মনে করলেন। সুতরাং এই কাজের জন্য প্রথমে তিনি হযরত ওমর ফারুক رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ কে নির্বাচিত করলেন কিন্তু আবার কোন বিশেষ কারণে হযরত ওসমান গনী رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ কে মক্কায় পাঠালেন। তিনি মক্কায় পৌঁছে কুরাইশের কাফেরদেরকে হুযুর পুরনূর
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পক্ষ থেকে সন্ধির বার্তা পৌঁছালেন। হযরত ওসমান গনী رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ নিজের ধন-সম্পদ এবং নিজের গোত্রের রক্ষনাবেক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে কুরাইশের কাফেরদের দৃষ্টিতে অনেক বেশি সম্মানিত ছিলেন। এই কারণেই কুরাইশের কাফেররা তাঁর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করতে পারেনি। বরং তাঁকে বলা হলো, আপনাকে অনুমতি দেয়া হচ্ছে, আপনি কাবার তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সাঈ করে আপনার ওমরা আদায় করে নিন, কিন্তু আমরা মুহাম্মদ صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে কোনভাবেই কাবার নিকটে আসতে দিবো না। হযরত ওসমানে গনী رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ তা প্রত্যাখ্যান করে দিলেন এবং বললেন: আমি রাসুলূল্লাহ্ صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে ছাড়া কখনোই একা ওমরা আদায় করবো না। (সীরাতে মুস্তফা, ৩৪৮ পৃষ্ঠা) যখন হযরত ওসমানে গনী رَضِیَ
اللهُ عَنْہُمْ মক্কা থেকে ফিরে আসলেন তখন সাহাবায়ে কিরামগণ رَضِیَ
اللهُ عَنْہُمْ জিজ্ঞাসা করলেন: হে আবু আব্দুল্লাহ! (এটা ওসমান গনী رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ এর উপনাম ছিলো) আপনি তো নিশ্চয় কাবার তাওয়াফ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন? তখন সেই প্রেমিক ও বিশ্বস্ততার মূর্তপ্রতিক উত্তর দিলেন: শপথ! সেই পবিত্র সত্তার, যার কুদরতের হাতে আমার প্রাণ, যদি আমি পুরো বছর মক্কায় থাকতাম এবং প্রিয় নবী হুযুর صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হুদায়বিয়ায় অবস্থান করতেন, তখনও আমি ততক্ষন পর্যন্ত বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করতাম না, যতক্ষন পর্যন্ত হুযুরে আকরাম صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাওয়াফ করে নিতেন না। তবে হ্যাঁ কুরাইশরা আমাকে তাওয়াফ করতে বলেছিলো কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করে দিলাম। (দালাইলুন নবুয়ত, বাবু আরসালুন নবী, ৪/১৩৩-১৩৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد