Book Name:Tilawat e Quran Ki Barkatain
প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের আলোকে লিখেন: হাদীস অর্থ হচ্ছে সাধারণ কথা ও বাক্য, সুতরাং এই অর্থে কুরআনও হাদীস আর মানুষের কথাবার্তাও হাদীস, কিন্তু পারিভাষিকভাবে শুধু হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণী ও কাজকেই হাদীস বলা হয়। এখানে শাব্দিক অর্থে বিবেচিত, আল্লাহ পাকের কালাম সকল কালামের মধ্যে এমন সম্মানিত যেমন স্বয়ং পরওয়ারদিগার তাঁর সৃষ্টির উপর। (মিরাতুল মানাজিহ, ১/১৫৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতক্ষণ আপনারা কুরআনে করীমের ফযীলত ও মর্যাদা শ্রবণ করলেন, আসলেই কুরআনে করীমের শান ও মহত্বের অনুমান করা যাবেনা, তা পাঠ করা ইবাদত, তা শুনা ইবাদত, তা স্পর্শ করা ইবাদত, এমনকি তা দেখাও ইবাদত। এই পবিত্র কালাম রহমত ও বরকতে ভরা। আসুন! প্রথমে এই মুবারক কিতাবের প্রতি ভালবাসা পোষণকারীদের ফযীলত শ্রবণ করি।
আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের ভালবাসার পরিচয় জানার পদ্ধতি
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: যার এটা জানা পছন্দনীয় যে, সে আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে ভালবাসে, তবে সে যেনো দেখে যে, যদি সে কুরআনকে ভালবাসে (অর্থাৎ এর তিলাওয়াত করে আর এর উপর আমল করে। (শরহে শিফা লিল আল্লামা আলী কারী)) তবে সে আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কেও ভালবাসে। (মু’জামুল কবীর লিত তাবারানী, ৯/১৩২, হাদীস: ৮৬৫৭)
হযরত সাহাল বিন আব্দুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আল্লাহ পাকের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হলো; কুরআনের প্রতি ভালবাসা পোষণ