Book Name:Baap Ki Azmat o Shan
করবো এবং উত্তরাধিকার থেকে কোন অংশ নেবো না। এটা খুব অদ্ভুত প্রস্তাব ছিল, টাকা কে ছাড়তে চায়? কিন্তু সেই ভাই জানত পিতার খেদমতের কী প্রতিদান! সুতরাং তিনজন ভাই বলল: এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে, তুমিই পিতার খেদমত করো এবং উত্তরাধিকার থেকে কিছুই নিও না। যাই হোক এই ফর্মুলা ঠিক হয়ে গেল এবং সেই ভাই তার পিতার খেদমত করতে থাকল যতক্ষণ না পিতা ইন্তেকাল করলেন। সেই খেদমতগার ছেলে উত্তরাধিকার থেকে কোন অংশ নিল না, কারণ সে ওয়াদা করেছিল যে, আমি পিতার খেদমত করবো, তাই উত্তরাধিকার থেকে অংশ নেবো না। এখন কী হলো, এক রাতে সে ঘুমিয়ে পড়ল, স্বপ্নে একটি আওয়াজ শুনতে পেল, কেউ বলছিল অমুক জায়গায় যাও এবং সেখানে ১০০ দিনার অর্থাৎ ১০০ সোনার মুদ্রা আছে, সেগুলো নিয়ে নাও। সেই ব্যক্তি স্বপ্নে যিনি তাকে বলছিলেন তাকে জিজ্ঞাসা করল যে, এই ১০০ দিনারে কি বরকত আছে? সে বলল: বরকত নেই। সকালে উঠে সেই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল: আমাকে স্বপ্নে একটি জায়গা দেখানো হয়েছে যে, সেখানে ১০০ দিনার আছে, কিন্তু আমি নিতে অস্বীকার করেছি কারণ সেগুলোতে বরকত নেই। স্ত্রী বলল: অদ্ভুত লোক! আগে উত্তরাধীকার ছেড়ে দিলে, উত্তরাধিকার থেকেও কিছু নিলে না, এখন ১০০ দিনার পাচ্ছ, তুমি তো গরীব এগুলো তো নিতে পারতে। সে বলল: আমি সেই মাল চাই না যাতে বরকত নেই। দ্বিতীয় রাতে সে ঘুমিয়ে পড়ল, তারপর স্বপ্নে একটি জায়গা দেখতে পেল যে, অমুক জায়গায় সোনার ১০ আশরাফী আছে, সেগুলো নিয়ে নাও। সে বলল: সেগুলোতে কি বরকত আছে? বলা হলো: সেগুলোতে বরকত নেই। সকালে উঠে সেই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল, স্ত্রী বলল: অদ্ভুত লোক! ১০০ দিনার থেকে ১০ এ নেমে এসেছে, ১০টা তো নিতে পারতে। সে বলল: বরকত নেই কাজেই আমি চাই না। তৃতীয় রাতে