Book Name:Do Noor Wale Sahabi
ওদিকে আল্লাহর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিজের প্রিয় সাহাবীর ভালবাসার প্রতি কত আস্থা...!! তিনি বলছেন: উসমান যদিও বছরের পর বছরও সেখানে থাকেন, তবুও তিনি আমাকে ছাড়া তাওয়াফ করবেন না। سُبْحَانَ الله!
আল্লাহ পাক হযরত উসমান গণী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর উপর কোটি কোটি রহমত বর্ষণ করুন। তাঁর ওসিলায় আমাদেরকেও ইশকে রাসূলের অফুরন্ত সম্পদ, সুন্নাতের প্রতি ভালবাসা, প্রিয় আকা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আনুগত্যের উদ্দীপনা দান করুন।
اٰمِين بِجا هِ خَاتَمِ النَّبِيّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! বয়ান শেষ করার পূর্বে মেহমানদারীর কিছু আদব শ্রবণ করি।
প্রথমে প্রিয় নবী صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ৩টি বাণী লক্ষ্য করুন:
(১) যে ব্যক্তি
(ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও)
মেহমানদারী করে না, তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। (মুসনাদে আহমদ,
২৬/১৪২,
হাদীস: ১৭৪২৪)
(২) মানুষের কম বুদ্ধির পরিচায়ক হলো সে তার মেহমানের খেদমত নেয়
(অর্থাৎ নিজে মেহমানের থেকে সেবা নেয়)। (আল জামেউস সগীর,
পৃ. ২৮৮,
হাদীস: ৪৬৮২)
(৩) সুন্নাত হলো মানুষ মেহমানকে দরজা পর্যন্ত বিদায় জানাতে যাবে। (ইবনে মাজাহ,
৪/৫২,
হাদীস: ৩৩৫৮) * মেহমানের উচিত যে,
সে তার নিমন্ত্রনকারির ব্যস্থতা এবং দায়িত্বের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। * হযরত মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন:
মেহমানের জন্য চারটি বিষয় জরুরী:
(১) যেখানে বসতে দেওয়া হয় সেখানেই বসবে।
(২) যা কিছু তার সামনে পেশ করা হয় তাতে খুশি থাকবে,
(এমন যেন না হয় যে বলতে শুরু করে:
এর চেয়ে ভালো তো আমি নিজের ঘরেই খেতাম বা এই ধরনের অন্য কোনো কথা)।
(৩) মেজবানের অনুমতি ছাড়া সেখান থেকে উঠবে না এবং
(৪) যখন সেখান থেকে যাবে তখন তার জন্য দোয়া করবে। (আলমগীরী,
৫/৩৪৪) * ঘর বা খাবার ইত্যাদি বিষয়ে কোনো প্রকার সমালোচনা করবে না,
আবার মিথ্যা প্রশংসাও