Book Name:Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya
শয়তান ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় শত্রু
মাকতাবাতুল মদীনা থেকে প্রকাশিত মালফুযাতে আলা হযরত নামক কিতাবে রয়েছে: আসরের নামাযের পর শয়তানরা সমুদ্রে একত্রিত হয়, ইবলিসের সিংহাসন স্থাপন করা হয়, শয়তানরা তাদের প্রত্যেকের কার্যবিবরণী উপস্থাপন করে, কেউ বলে: সে এত লোককে মদ পান করিয়েছে, কেউ বলে: সে এত লোককে ব্যভিচারে লিপ্ত করেছে, (শয়তান) সবার কথা শোনে। কেউ বলল: আমি আজ অমুক (ইলমে দ্বীনের) শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা থেকে বিরত রেখেছি। (শয়তান এটা) শুনতেই সিংহাসনে লাফিয়ে উঠে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে বলে: انتَ انتَ (অর্থাৎ) তুমিই (কাজের মতো) কাজ করেছ। অন্য শয়তানরা এই দৃশ্য দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে যায়, তারা এত বড় বড় কাজ করেছে, তাদেরকে কিছুই বলল না আর এই শয়তানের চেলাকে একজন ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র একদিনের জন্য পড়াশুনা থেকে বিরত রাখার কারণে এত শাবাস দিচ্ছে! ইবলিস বলল: তুমি জানো না, তুমি কী করেছো, সবই এরই (ইলমে দ্বীন অর্জন থেকে বিরত রাখা কাজের) কারণে সম্ভব হয়েছে। যদি দ্বীনের জ্ঞান থাকতো, তাহলে তারা কখনো এসব গুনাহ করতো না।
(মলফুযাতে আলা হযরত, ৩৫৬ পৃ:)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল, শয়তানের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো মুসলমানদেরকে ইলমে দ্বীন থেকে বিরত রাখা, কেননা যদি মুসলমান ইলমে দ্বীন অর্জন করা থেকে দূরে সরে যায়, তবে তার জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়, তাই আমাদের উচিত, ইলমে দ্বীন অর্জন করা এবং কখনোই এতে অলসতা না করা।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইলমে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ দান করুক। اٰمین بِجاہِ خاتَمِ النَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
দাওয়াতে ইসলামী ও ইলমে দ্বীনের প্রসার
اَلْحَمْدُ لِلّٰه আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামী ইলমে দ্বীনের নূর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
দাওয়াতে ইসলামীর ব্যবস্থাপনায় সারা বিশ্বে হাজার হাজার জামিয়াতুল মদীনা পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনদের পৃথক পৃথক জামিয়াতুল মদীনায় দরসে নিজামী (অর্থাৎ আলিম ও আলিমা কোর্স) করানো হয়। اَلْحَمْدُ لِلّٰه জামিয়াতুল মদীনায় ইলমে তাফসীর ও উসুলে তাফসীর, ইলমে হাদিস ও উসুলে হাদিস, ফিকাহ ও উসুলে ফিকাহ, ইলমে কালাম, বিভিন্ন আভিধানিক জ্ঞান যেমন; ইলমে নাহু, ইলমে সরফ, ইলমে বয়ান, ইলমে বদীই, ইলমে মাআনী ইত্যাদি প্রায় ১৫টি জ্ঞান ও শাস্ত্র শিক্ষা দেয়া হয়।
জামিয়াতুল মদীনায় ভর্তি চলমান রয়েছে, জামিয়াতুল মদীনায় ভর্তি হোন! আপনার সন্তানকে ভর্তি করিয়ে দিন! আপনার আত্মীয়-স্বজনদের এবং বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনদের মানসিকতা প্রদান করুন, তাদেরকেও জামিয়াতুল মদীনায় ভর্তি করান! আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে স্বয়ং নিজে আমলদার আলিম হয়ে অন্যদেরও আলিম বানানোর তৌফিক দান করুক। اٰمین بِجاہِ خاتَمِ النَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم