Book Name:Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya
এবং হাদিস মুখস্ত করে আর তখন দুনিয়ার সমস্ত কিছু, এমনকি সমুদ্রের মাছেরাও তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করে। সে কেমন সৌভাগ্যবান...! سُبْحٰنَ الله!
হে আশিকানে রাসূল! এখনই যেই হাদিসে পাক শুনলাম, তাতে বলা হয়েছে যে, জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরয। এই হাদিসে পাকে কোন জ্ঞান উদ্দেশ্য? এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বলেন: এই হাদিসে পাক দ্বারা স্কুল-কলেজের প্রচলিত জ্ঞান নয় বরং দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানই উদ্দেশ্য। অতএব * সর্বপ্রথম ইসলামী আকিদা শেখা ফরয। * এরপর নামাযের ফরয, শর্তাবলী ও মুফসিদাত (অর্থাৎ নামায কিভাবে শুদ্ধ হয় আর কিভাবে ভঙ্গ হয়, তা শেখা * অতঃপর রমযানুল মুবারকের আগমন হলে যার ওপর রোযা ফরয, তার জন্য রোযার জরুরি মাসআলা * যার ওপর যাকাত ফরয, তার জন্য যাকাতের মাসআলা * অনুরূপভাবে যার ওপর হজ্ব ফরয, তার জন্য হজ্বের বিধান * বিয়ে করতে চাইলে, বিয়ের * ব্যবসায়ির জন্য ব্যবসার * ক্রেতার জন্য ক্রয় করার * কর্মচারি বা মালিকের ইজারার (চুক্তির) বিষয়ে জ্ঞান * মোটকথা প্রত্যেক সজ্ঞান, প্রাপ্তবয়ষ্ক মুসলমান পুরুষ ও নারীর উপর তার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী মাসআলা শেখা ফরযে আইন।
* অনুরূপভাবে প্রত্যেকের জন্য হালাল ও হারামের মাসআলা শেখাও ফরয * হৃদয়ের রোগ (অর্থাৎ বাতেনী মাসআলা) অর্থাৎ বাতেনী ফরযসমূহ, যেমন; বিনয় ও একনিষ্টতা এবং তাওয়াক্কুল ইত্যাদি আর তা অর্জন করার পদ্ধতি * এভাবে বাতেনী গুনাহ যেমন; অহংকার, লৌকিকতা, হিংসা, কু-ধারণা, বিদ্বেষ, ক্ষোভ ইত্যাদি এবং এগুলোর প্রতিকার শেখাও প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয * তদ্রূপ মুহলিকাত অর্থাৎ ধ্বংসে পতিতকারী বিষয় যেমন; ওয়াদা খেলাফী, মিথ্যা, গীবত, চুগলী, অপবাদ, কু-দৃষ্টি, প্রতারণা, মুসলমানদের কষ্ট দেয়া ইত্যাদি সকল সগীরা ও কবীরা গুনাহের ব্যাপারে আবশ্যকীয় আহকাম শেখাও ফরয, যাতে তা থেকে বাঁচতে পারে। (নেকির দাওয়াত, ১৩৬ পৃ:)
দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনের শর্তাবলী
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজকাল দুনিয়াবি জ্ঞানের প্রতি মানুষের প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। বহু মুসলমান তাদের দুনিয়াবি ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করে এবং এটির জন্য কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট সহ্য করে। নিঃসন্দেহে দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনের দুনিয়াবি উপকারিতাও রয়েছে এবং দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করাকে সরাসরি নাজায়িযও বলা যায় না, তবে দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যা পূরণ করা জরুরি। সায়্যিদি আলা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রযা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: * যে জ্ঞানে কুফরির শিক্ষা রয়েছে, তা পড়া হারাম। * তবে হ্যাঁ! জায়িয জ্ঞান (যাতে ইসলামী আকিদা ও শিক্ষার পরিপন্থী কিছু নেই, সেই জ্ঞান) জায়িয পেশার জন্য পড়া জায়িয। * তবে এতে এমনভাবে মগ্ন হওয়া যাবে না যার কারণে দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে বাধা আমস, অন্যথায় ওই দুনিয়াবি জ্ঞান, যা ফরয ইলমে দ্বীন অর্জন থেকে বিরত রাখে, তা হারাম। * একই সঙ্গে এটাও জরুরি যে, নিজের দ্বীন ও নৈতিক চরিত্রের ওপর যেন প্রভাব না পড়ে। * ইসলামী আকিদা ও