Book Name:Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya
চিন্তাধারায় দৃঢ় থাকে এবং মুসলিম পরিচয় বজায় থাকে, এই সমস্ত শর্ত পূরণ হলে তবে জায়িয উপার্জনের জন্য জায়িয দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
(ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, খন্ড: ২৩, ৭০৮-৭০৯ পৃ:)
অন্য এক স্থানে তিনি বলেন: প্রত্যেক ব্যক্তি যেই অবস্থায় রয়েছে, সেই অনুযায়ী শরীয়তের বিধান জানা, এটা ফরযে আইন। যতক্ষণ না এই জ্ঞান অর্জন করে নিবে না, ততক্ষণ ভূগোল, ইতিহাস ইত্যাদি (দুনিয়াবি জ্ঞান) শেখার জন্য সময় নষ্ট করা জায়িয নয়। (ফাতোওয়া রযবীয়া, খন্ড: ২৩, ৬৪৭ পৃ:)
সুতরাং যারা দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করে, তাদের জন্য আবশ্যক যে, প্রথমে প্রয়োজনীয় ইলমে দ্বীন অর্জন করবে, শুধুমাত্র সেসব বিদ্যা অধ্যয়ন করবে, যা কুরআন ও হাদিস এবং ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী নয়। যেই বিদ্যায় দ্বীনের পরিপন্থী বিষয় থাকে, তা কখনোই অধ্যয়ন করবে না এবং এর পাশাপাশি দুনিয়াবি বিদ্যা অর্জনের সময়ও ইসলামী আদর্শ ও পরিচয় (যেমন: দাড়ি ইত্যাদি) বজায় রাখবে। এই শর্তাবলী সহকারে জায়িয দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করা জায়িয।
(৩) আল্লাহ পাক যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করেন
আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: مَنْ يُرِدِ اللّٰهُ بِهٖ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ আল্লাহ পাক যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন। (বুখারী, কিতাবুল ইলম, বাবু মাই ইরুদিল্লাহু, পৃ: ৯২, হাদিস: ৭১)
(৪) ওলামারা নবীদের উত্তরাধিকারী
হযরত কাসির বিন কাইস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি দামেস্কের মসজিদে সাহাবিয়ে রাসূল হযরত আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় একজন ব্যক্তি এলো এবং আরয করলো: হে আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ! আমি শুনেছি যে, আপনি রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর একটি হাদিস বর্ণনা করেন। আমি সেই হাদিস শেখার জন্য মদীনা মুনাওয়ারা থেকে এসেছি। হযরত আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: তুমি কি ব্যবসার জন্য আসোনি? আরয করলো: না। বললেন: ব্যবসার বাইরে (দামেস্কে) অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তুমি এসেছ? আরয করলো: না (আমি তো শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হাদিস শেখার জন্য এসেছি, এর বাইরে আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই)। তখন হযরত আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থীর ফযিলত বর্ণনা করতে গিয়ে বললেন: আমি রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم থেকে শুনেছি: * যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন শিখার জন্য কোনো পথে গমন করে, আল্লাহ পাক তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। * নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থীর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তার জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেয়। * নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সমস্ত সৃষ্টি, এমনকি পানিতে মাছেরাও তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। * নিশ্চয়ই আলিমের ফযিলত