Book Name:Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ভাবুন তো! ইলমে দ্বীনের কীরূপ উচ্চ মর্যাদা যে, ওলামারা কিয়ামতের দিন সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক উচ্চ মর্যাদা লাভ করবেন। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: জ্ঞান হলো সফলতার ভিত্তি এবং দ্বীনের কুতুব।
জ্ঞান হলো জীবন আর অজ্ঞতা হলো মৃত্যু
আলা হযরতের আব্বাজান মাওলানা নকী আলী খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: দুনিয়া ও আখিরাতে কোনো পরিপূর্ণতা ইলমে দ্বীন ছাড়া অর্জন করা যায় না আর এমনকি ইলমে দ্বীন ছাড়া ঈমানও অসম্পূর্ণ থাকে। তাই ওলামায়ে কেরাম বলেন: اَلْعِلْمُ بَابُ اللهِ الْاَقْرَب জ্ঞান আল্লাহ পাকের দরবারে পৌঁছানোর সবচেয়ে নিকটতম দরজা। وَالْجَہْلُ اَعْظَمُ حِجَابٌ بَیْنَکَ وَ بَیْنَ الله আর অজ্ঞতা হলো তোমার এবং আল্লাহ পাকের মধ্যে সবচেয়ে বড় পর্দা (অর্থাৎ প্রতিবন্ধক)।
মাওলানা নকী আলী খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও বলেন: জ্ঞান হলো জীবন আর অজ্ঞতা হলো মৃত্যু। (ফয়যানে ইলম অর ওলামা, ৭ ও ৮ পৃ:)
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে ইলমে দ্বীনের প্রতি আগ্রহ নসিব করুক। আসুন! ইলমে দ্বীনের জ্ঞানের ফযিলত সম্বলিত কিছু হাদিসে পাক শোনার সৌভাগ্য অর্জন করি:
হযরত হাকিম বিন হিযাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: নিশ্চয়ই তোমরা এমন এক যুগে রয়েছো, যেখানে ওলামা বেশি আর বক্তা (অর্থাৎ মনগড়া কাহিনী বলা
বক্তারা) কম, দানশীল বেশি এবং
ভিক্ষুক কম। এই যুগে আমল করা জ্ঞানার্জনের চেয়ে উত্তম। কিন্তু শীঘ্রই মানুষের মাঝে
এমন এক যুগ আসবে,
যখন
ওলামা কম এবং বক্তা (অর্থাৎ মনগড়া কাহিনী বলা বক্তা) বেড়ে যাবে, দানশীল কম আর ভিক্ষুক বেড়ে যাবে।
সেই যুগে জ্ঞানার্জন করা আমল করার চেয়েও উত্তম হবে। (মু’জামু কবীর, খন্ড ২, পৃ: ৩০৬, হাদিস: ৩০৪১)
(২) ইলমে দ্বীন অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরয
হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِیْضَةٌ عَلیٰ کُلِّ مُسْلِمٍ وَ اِنَّ طَالِبَ الْعِلْمِ یَستَغْفِرُ لَہٗ کُلُّ شَیْءٍ حَتَّی الْحِیْتَانُ فِی الْبَحْرِ ইলমে দ্বীন অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরয এবং (ইলমে) দ্বীনের শিক্ষার্থীর জন্য সমস্ত কিছু, এমনকি সমুদ্রের মাছও মাগফিরাতের দোয়া করে থাকে।
(জামে সগীর, ৩২৫ পৃ:, হাদিস: ৫২৬৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ইলমে দ্বীন অর্জনের কত মহান বরকত যে, ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী যখন তার কাজে ব্যস্ত থাকে, ইলম অর্জন করে, দ্বীনি কিতাব পড়ে, কুরআনের আয়াত