Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya

Book Name:Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya

বিদ্যমান। এই ২টি স্তরের পর যেই স্তরটি রয়েছে, তা হলো ওলামায়ে কেরাম ও ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থীর জন্য। ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী আল্লাহ পাকের দান সম্পর্কে আরও উল্লেখ করে বললো: আমি যখন ওলামায়ে কেরামের স্তরে পৌঁছালাম, তখন সেখানে উপস্থিত ওলামায়ে কেরাম আমাকে খুবই উত্তমভাবে অভ্যর্থনা জানালেন এরপর আল্লাহ পাক আমাদের সুসংবাদ দিয়ে ইরশাদ করলেন: হে ওলামাদের দল...! এটি আমার জান্নাত, আমি এটি তোমাদের প্রদান করলাম। এটি আমার সন্তুষ্টি, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট। তোমরা যা চাইবে, আমি তা প্রদান করব এবং যাদের জন্য তোমরা সুপারিশ করবে, আমি তোমাদের সুপারিশ গ্রহণ করব।

আল্লামা ইবনে বাত্তাল رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই ঈমান সতেজকারী ঘটনাটি উল্লেখ করার পর বলেন: এসব ফযিলত তাদের জন্য, যারা শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ইলমে দ্বীন অর্জন করে এবং নিজের ইলমের উপর আমলও করে (শরহে সহিহ বুখারী লি ইবনে বাত্তাল, কিতাবু ইলম, ১/১৩৪-১৩৫)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

জ্ঞানের প্রদীপের প্রতি হোক ভালোবাসা ইয়া রব!

 হে আশিকানে রাসূল! আপনারা শুনলেন যে, সৌভাগ্যবান ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী ইলমে দ্বীনের জন্য ঘর-বাড়ি ত্যাগ করে, বিশুদ্ধ নিয়্ত ও কঠোর পরিশ্রমের সহিত ইলমে দ্বীন অর্জনে মশগুল থাকার কত বরকত অর্জন করলো, একটু ভাবুন তো! সেই যুবকটি কিরূপ সৌভাগ্যবান ছিলো, সে ইলমে দ্বীন শিখার উদ্দেশ্যে নিজের ঘর-বাড়ি ছাড়ল, মা-বাবা ও প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হলো, সিরিয়া থেকে মদীনা মুনাওয়ারায় আসল, ইলমে দ্বীন অর্জন করতে করতে তার মৃত্যু এলো, ফলে এর প্রতিদান কী পেল, যুগের শ্রেষ্ঠ ওলামাগণ তার জানাযায় অংশগ্রহণ করলেন, যুগের আয়িম্মায়ে কেরামগণ তাকে কবরস্থ করলেন, আরও দয়ার উপর দয়া হলো যে, আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করলেন, তাকে ওলামায়ে কেরামের স্তরে স্থান দান করলেন। سُبْحٰنَ الله! আল্লাহ পাক আমাদেরও ইলমে দ্বীন শিক্ষা অর্জনের তৌফিক দান করুক

اٰمین بِجاہِ خاتَمِ النَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

 

ওলামায়ে কেরামের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়

পারা ২৮, সূরা মুজাদালার ১১ আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: 

یَرْفَعِ اللّٰہُ  الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مِنْکُمْ ۙ وَ الَّذِیْنَ  اُوْتُوا  الْعِلْمَ دَرَجٰتٍ ؕ

কানযুল ঈমানের অনুবাদ: তোমাদের মধ্যে ঈমানদারদের ও তাদেরই যাদেরকে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে, মর্যাদা সমুন্নত করবেন

 

সাহাবিয়ে রাসূল, সুলতানুল মুফাসসিরীন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا এই আয়াতের তাফসীরে বলেন: ওলামায়ে কেরাম সাধারণ মুমিনদের তুলনায় ৭০০ স্তর উচ্চ মর্যাদায় আশীন হবেন এবং প্রতি দুই স্তরের মধ্যে ৫০০ বছরের দূরত্ব হবে। (কুতুল কুলুব, ১/২৪১)