Tilawat e Quran Aur Musalman

Book Name:Tilawat e Quran Aur Musalman

জান্নাতি পোষাক পরিধান করানো হবে

          (১) ইরশাদ হচ্ছে: কিয়ামতের দিন যখন কুরআন তিলাওয়াতকারী আসবে, তখন কুরআন আরয করবে, হে আল্লাহ! একে জান্নাতি পোষাক পরিয়ে দিন। অতএব তাকে সম্মানজনক জান্নাতি পোষাক পরিধান করানো হবে। অতঃপর কুরআন আরয করবে: হে আল্লাহ! তাতে বৃদ্ধি করে দিন, তখন তাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। অতঃপর কুরআন আরয করবে: হে আল্লাহ! এই ব্যক্তির উপর তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যাও। তখন আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। অতঃপর সেই কুরআন তিলাওয়াতকারীকে উদ্দেশ্য করে বলা হবে: তুমি কুরআন পড়ে যাও আর জান্নাতের দরজাগুলো অতিক্রম করে যাও। প্রতিটি আয়াতের বিনিময়ে তাকে নেয়ামত দান করা হবে। (তিরমিযী, কিতাবুল ফযায়িলে কুরআন, ৪/৪১৯, হাদীস নং-২৯২৪)

          (২) ইরশাদ হচ্ছে: আল্লাহ পাক কুরআন শ্রবণকারী থেকে দুনিয়ার বিপদ দূর করে দেন এবং কুরআন পাঠকারী থেকে আখিরাতের বিপদ দূর করে দেন। কুরআনে পাকের একটি আয়াত শুনা স্বর্ণের ভান্ডার থেকেও বেশি, এর একটি আয়াত পাঠ করা আরশের নিচে বিদ্যমান জিনিষের চেয়েও উত্তম। (মুসনাদুল ফিরদাউস, ৫/২৫৯, হাদীস নং-৮১২২)

          (৩) ইরশাদ হচ্ছে: যে ব্যক্তি কিতাবুল্লাহর একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকী পাবে, যা ১০টি নেকীর সমান। আমি এটা বলছি না যে, الم একটি হরফ। বরং اএকটি হরফ, ‘لএকটি হরফ এবং مএটি হরফ। (তিরমিযী, কিতাবু ফাযায়িলুল কুরআন, ৪/৪১৭, হাদীস নং- ২৯১৯)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          হে আশিকানে রাসূল! বর্ণনাকৃত হাদীসে মুবারাকা সমূহ থেকে জানা গেলো! কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করা এবং শুনাতে দুনিয়াবী বিপদাপদ, দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়, মুসলমান কষ্ট এবং বালা মুসিবত থেকে নিরাপদ থাকে, কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করা দুনিয়াবী ধন সম্পদের চেয়ে উত্তম বরং কুরআনে পাকের একটি হরফ পাঠ করাতে ১০টি নেকীর সাওয়াব পাওয়া যায়। এটাও জানতে পারলাম! যে লোক আল্লাহ পাকের কালামের তিলাওয়াত করতে থাকে, তাদের অন্তরে প্রশান্তি নসীব হয়ে যায়, এমন সৌভাগ্যবান লোকের উপর আল্লাহ পাকের রহমত অবিরত বর্ষণ হতে থাকে, আখিরাতে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, এমনকি তাদের জন্য কুরআনে পাক তিলাওয়াত করার অনুযায়ী জান্নাতে মর্যাদা নির্ধারন করা হবে। সুতরাং আমাদের প্রতিদিন সময় বের করে আনন্দচিত্তে কুরআনে করীমের তিলাওয়াত করার অভ্যাস গড়া উচিৎ, যাতে আমরাও কুরআনে পাকের বরকত অর্জন করতে পারি।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রতিদিন একটি সময় নির্ধারন করে নিন, যেমন; একটা থেকে একটা পর্যন্ত এতটুকু কুরআনের তিলাওয়াত করার সৌভাগ্য অর্জন করবো। হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا কুরআন তিলাওয়াতের একটি সীমা নির্ধারন করে রেখেছিলেন। এই সময় তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কারো সাথে কথাবার্তা বলতেন না।