Tilawat e Quran Aur Musalman

Book Name:Tilawat e Quran Aur Musalman

কুরআনের আহকামের প্রতি আমলের উৎসাহ

          হযরত আল্লামা ইসমাঈল হক্কী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আল্লাহ পাকের কিতাবের উদ্দেশ্য এবং এর চাওয়া অনুযায়ী আমল করতে হবে, এমন নয় যে, শুধু মুখে উৎসাহ দেয়া, এর পাশাপাশি এর তিলাওয়াতও করুন। এর উদাহরণ এরূপ যে, যখন কোন বাদশাহ তার সম্রাজ্যের কোন শাসকের কিট কোন চিঠি প্রেরণ করে এবং এতে আদেশ দেয়া হয় যে, অমুক অমুক শহরে তার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করে দেয়া হোক এবং যখন সেই চিঠি সেই শাসকের নিকট পৌঁছে তখন সে এতে দেয়া আদেশ অনুযায়ী প্রাসাদ নির্মাণ না করে, তবে এই চিঠিটি প্রতিদিন পাট করতেথাকে, তবে যখন বাদশাহ সেখানে আসবে এবং প্রাসাদ পাবে না তখন স্বভঃবতই সেই শাসক শাস্তির অধিকারী হয়ে যাবে, কেননা সে বাদশার আদেশ পাঠ করার পরও এর উপর আমল করেনি তেমনি কুরআনও এই চিঠির ন্যায়, যাতে আল্লাহ পাক তার বান্দাদের আদেশ দিয়েছেন যে, তারা যেনো দ্বীনের আরাকান যেমন নামায এবং রোযা ইত্যাদি আদায় করে। বান্দা শুধুমাত্র কুরআনে করীম তিলাওয়াত করতে রয়েছে এবং আল্লাহ পাকের আদেশের উপর আমল না করে তবে তাদের শুধুমাত্র কুরআনে করীম তিলাওয়াত করতে থাকা মূলত উপকারী নয়। (রুহুল বয়ান, সূরা বাকারা, ৬৪ নং আয়াতের পাদটিকা, ১/১৫৫)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

কুরআন তিলাওয়াতের আদেশ এবং কুরআনে মজীদের দাবী

          হে আশিকানে রাসূল! যেমনিভাবে আমাদেরকে কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং উৎসাহ প্রদানের জন্য হাদীসে মুবারাকায় অসংখ্য ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে, তেমনিভাবে আমাদেরকে এর বিধানাবলীর উপর আমল করারও আদেশ দেয়া হয়েছে, যারা কুরআনে করীমে বর্ণিত বিধানাবলীর প্রতি আমল করে না, তাদের জন্য আযাবের কঠিন সতর্কতাও এসেছে। আমাদের উাচৎ যে, কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করার পাশাপাশি কানযুল ঈমানের অনুবাদ এবং এর পাশপাশি তাফসীরে সিরাতুল জিনান/ খাযায়িনুল ইরফান অথবা নূরুল ইরফানও অধ্যয়ন করা, কেননা কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা এবং তা বুঝা উচ্চ মর্যাদার ইবাদত।

          হযরত ইমাম গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: একটি আয়াত বুঝে এবং চিন্তা-ভাবনা করে পাঠ করা, চিন্তা-ভাবনা ছাড়া কুরআন পাঠ করার চেয়ে উত্তম। (ইহইয়াউল উলুম, কিতাবুত তাকফির, ৫/১৭০)

 

কুরআনের উপর আমল না করার শাস্তি

          বুযুর্গানে দ্বীন رَحِمَہُمُ اللهُ الْمُبِيْن থেকে বর্ণিত: অনেক সময় বান্দা একটি সূরা শুরু করে তবে তা সম্পূর্ণ শেষ করা পর্যন্ত ফিরিশতারা তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে, কখনো বান্দা একটি সূরা শুরু করে তখন তা সম্পূর্ণ শেষ করা পর্যন্ত ফিরিশতারা তার প্রতি অভিশাপ দিতে থাকে। আরয করা হলো: এটা কেমন? বললেন: যখন সে এর হাললকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানবে তখন ফিরিশতারা তার জন্য রহমতের দোয়া করে অন্যথায় অভিশাপ প্রেরণ করে।

(ইহইয়াউল উলুম, কিতাবুল আদাবি তিলাওয়াতিল কুরআন, ১/৩৬৫)