Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah
কোন মন্দ কর্ম গোপন থাকতে পারে না
হযরত লোকমান হাকীম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নামে আল্লাহর এক নেক বান্দা ছিলেন, আল্লাহ পাক তাকে হিকমত ও প্রজ্ঞা দান করেছিলেন। তিনি তার ছেলেকে উপদেশ দিলেন, যার উল্লেখ কুরআনেও রয়েছে। তিনি বললেন:
یٰبُنَیَّ اِنَّہَاۤ اِنْ تَکُ مِثْقَالَ حَبَّۃٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَکُنْ فِیْ صَخْرَۃٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِہَا اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ (۱۶)
(পারা ২১, সূরা লোকমান, আয়াত ১৬) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হে আমার পুত্র! মন্দকাজ যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়, তারপর তা কঙ্করময় ভূমিতে কিংবা আসমানগুলোতে অথবা যমীনের মধ্যে যেখানেই থাকুক না কেন, আল্লাহ সেটা উপস্থিত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক সুক্ষ্ম বিষয়ের জ্ঞাতা, অবহিত।
জানা গেলো! মন্দ কর্ম যতই ছোট হোক আর যতই গোপনে করা হোক, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক সেই মন্দ কাজকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক প্রত্যেক ছোট থেকে ছোট, সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্ম বিষয় সম্পর্কে অবহিত ও জ্ঞাত।
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! সর্বদা মনে রাখবেন! আল্লাহ পাক আমাদেরকে সৃষ্টি করে একেবারে লাহামহীন ছেড়ে দেননি। আমাদেরকে কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে। প্রথমতঃ এটা কি যথেষ্ট নয় যে, আল্লাহ পাক আমাদের দেখছেন? যারা লজ্জাশীল তাদের গুনাহ ছেড়ে দেয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, আল্লাহ পাক দেখছেন। আবার তার সাথে অনেক সাক্ষী রয়েছে, যারা আমাদের আমলের কঠোর তদারকি করছে। উলামায়ে কিরাম বলেন: কিয়ামতের দিন ৬টি সাক্ষী থাকবে;
এই জমিন যার উপর আমরা জীবন অতিবাহিত করছি, জমিনের ব্যাপারে আমরা কোনো সংকোচ বা লজ্জা অনুভব করিনা। এর উপরে প্রত্যেক জায়িয ও নাজায়িয কাজ সম্পাদন করে নিই। আজ এই জমিন আমাদের কোনো কাজের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। কিন্তু কাল কিয়ামতের দিন এই জমিনও আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ পাক কুরআনে পাকে ইরশাদ করেন:
یَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخْبَارَھَا ۙ(۴)
(পারা ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াত ৪) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: ঐদিন সেটা তার সংবাদসমূহ বলে দেবে।
হযরত আবু হুরায়রা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত: আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন: