Qayamat Ke Din Ke Gawah

Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ وَالصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلٰی خَاتَمِ النَّبِیّٖنط

اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْذُ بِا للهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ ط بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِط

اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَارَسُوْلَ الله                               وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَا حَبِیْبَ الله

اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَا نَبِیَّ الله                                            وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَانُوْرَ الله

 

দরূদ শরীফের ফযীলত

        আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন:
مَنْ صَلّٰی عَلَیَّ فِیْ یَوْمٍ مِائَۃَ مَرَّۃٍ قَضَی اللهُ لَہُ مِائَۃَ حَاجَۃٍ سَبْعِیْنَ مِنْہَا لِاٰخِرَتِہٖ وَ ثَلاَثِیْنَ مِنْہَا لِدُنْیَاہُ অর্থাৎ যে ব্যক্তি দিনে আমার প্রতি ১০০ বার দরূদে পাক পাঠ করবে, আল্লাহ পাক তার একশটি প্রয়োজন পুরণ করবেন, তার মধ্যে আখিরাতে সত্তরটি এবং ত্রিশটি দুনিয়ায় পুরণ হবে। (কানযুল উম্মাল, ১/২৫৫, হাদীস- ২২২৯)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

বয়ান শোনার নিয়্যত

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি এবং সাওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে প্রথমে কিছু ভালো ভাল নিয়্যত করে নিই। প্রিয় নবী
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: نِيَّةُ الْمُؤْمِنِ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِهٖমুসলমানের নিয়্যত তার আমল অপেক্ষা উত্তম। (মুজামুল কাবীর, সাহাল বিন সাআদ, ৬/১৮৫, হাদীস: ৫৯৪২)

 

        অতএব নিজের অবস্থার প্রেক্ষিতে ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন; * আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * এদিক সেদিক তাকানোর পরিবর্তে দৃষ্টিকে নত রেখে গভীর মনযোগ সহকারে বয়ান শুনবো * বয়ান শুনে এর উপর আমল করার চেষ্টা করবো * বয়ানের যতটুকু অংশ মনে থাকবে, তা অপরের নিকট পৌঁছে দিয়ে ইলমে দ্বীন প্রসারের সাওয়াব অর্জন করবো اِنْ شَآءَ الله

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

সর্বশেষ জান্নাতী

          রাসূলের সাহাবী হযরত আবু উমামাহ বাহিলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে ব্যক্তি পুলসিরাতে উপুড় হয়ে বুকের উপর ভর দিয়ে চলতে থাকবে, পিতা তার সন্তানকে মারলে এরপর সন্তান মুক্তি পেলে যেভাবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, ঐ ব্যক্তির অবস্থাও তেমন হবে। কারণ তার আমলসমূহ এমন উপযুক্ত নয় যে, তাকে পুলসিরাত পাড় করাবে।