Qayamat Ke Din Ke Gawah

Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah

অযুহাত থাকবে না। তবুও আমরা গুনাহ করে অবাধ্যতায় অটল থাকি, তাওবার দিকে অগ্রসর হই না। তাহলে বলুন! আমাদের থেকে বড় নির্বোধ কে? আহ! যদি কিয়ামতের দিন হিসাব নিকাশের করুণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝতে পারতাম। আহ! আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার ভয় যদি নসিব হয়ে যেতো।

 

আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার ভয়

          হযরত শায়খ সাদী শিরাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মসজিদুল হারামে কিছু লোক কাবা শরীফের নিকট ইবাদতে মগ্ন ছিলো। হঠাৎ তারা একজন ব্যক্তিকে দেখলো যে, দেয়াল জড়িয়ে ধরে অঝোরে কান্না করছে এবং তাঁর মুখে এই দোয়া অব্যাহত রয়েছে; হে আল্লাহ পাক! যদি আমার আমল তোমার দরবারের উপযুক্ত না হয় তবে কাল কিয়ামতের দিন আমাকে অন্ধ করে তুলো।

 

          এই অদ্ভুত দোয়া শুনে লোকেরা খুবই আশ্চর্য হলো, তারা প্রার্থনাকারীকে জিজ্ঞাসা করলো: হে শায়খ! আমরা তো কিয়ামতের দিন সুস্থ শরীর চাই আর আপনি অন্ধ করে তোলার জন্য দোয়া করছেন, এর রহস্য কী? ঐ ব্যক্তি কান্না করে করে বললেন: আমার চাওয়া হলো যদি আমার আমলসমূহ আল্লাহ পাকের দরবারের উপযুক্ত না হয়, তবে আমি কিয়ামতের দিন এই জন্য অন্ধ করে তুলতে বললাম যে, আমাকে যেনো মানুষের সামনে লজ্জা পেতে না হয়। তারা সবাই তাঁর প্রজ্ঞাময় উত্তর শুনে খুবই প্রভাবিত হলো। কিন্তু তারা ঐ ব্যক্তিকে চিনতো না, তাই জিজ্ঞাসা করলো: হে শায়খ! আপনি কে? তিনি উত্তর দিলেন: আমি হলাম আব্দুল কাদের জিলানী। (খওফে খোদা, ১২০ পৃষ্ঠা)

 

বিনা হিসাবে জান্নাতে যাওয়ার আমল

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আল্লাহ পাক আমাদেরকে আখিরাতের ভয় নসিব করুক। নিঃসন্দেহে আমরা হিসাব দেয়ার উপযুক্ত নই। আহ! যদি আমাদের থেকে হিসাব নেয়া হয় তবে অপমান ছাড়া আর কিছেই পাবো না। এই জন্য দোয়া করতে থাকা উচিৎ যে, আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে আপন রহমতে তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুপারিশের মাধ্যমে বিনা হিসাবে জান্নাতে যাওয়ার তৌফিক দান করেন

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!           صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

সদাচরণ সম্পর্কে মাদানী ফুল

প্রিয় ইসলামী বোনেরা! বয়ান শেষ করার পূর্বে সদাচরণ সম্পর্কে কিছু মাদানী ফুল বর্ণনা করার সৌভাগ্য অর্জন করছি।  প্রথমে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দু’টি বাণী লক্ষ্য করুন: (১) ইরশাদ করেন: প্রত্যেক সদাচরণ হলো সদকা, তা ধনীর সাথে হোক বা দরিদ্রের সাথে। (মাজমাউয যাওয়াইদ, ৩/৩৩১, হাদীস: ৪৭৫৪) (২) ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি  আল্লাহ ও কিয়ামতের দিনের উপর ঈমান রাখে, সে যেন সদাচরণ করে। (বুখারী, ৪/১৩৬, হাদীস: ৬১৩৮) * কুরআন  ও হাদীসে সাধারণভাবে আত্মীয়-স্বজন ও নিকটাত্মীয়দের (অর্থাৎ নিকটাত্মীয়দের) সাথে উত্তম আচরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (রদ্দুল মুহতার, ৯/৬৭৮) * সদাচরণ করার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার মর্যাদা সর্বাগ্রে। (রদ্দুল মুহতার, ৯/৬৭৮) * সদাচরণের অনেকগুলো দিক রয়েছে, উপঢৌকন ও উপহার দেয়া