Qayamat Ke Din Ke Gawah

Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah

নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঈর্ষাযোগ্য

          ইমাম হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আশ্চার্য্যের বিষয় এটা নয় যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে ধ্বংস হলো? বরং আশ্চার্য্যের বিষয় হলো এটাই যে, নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে নাজাত পেলো? (আদাবে হাসান বসরী লি ইবনে জওযী, ২৪ পৃষ্ঠা) অর্থাৎ কিয়ামতের দিন হিসাব নিকাশের ব্যাপারটি এমন কঠিন ও কষ্টকর যে, তাতে অকৃতকার্য হয়ে জাহান্নামের হকদার হয়ে যাওয়া অনেক সহজ ব্যাপার কিন্তু নাজাত পেয়ে জান্নাতের হকদার হওয়া অত্যন্ত কঠিন। তাই এতে আশ্চার্য্য হওয়ার কিছুই নেই যে, জাহান্নামী ব্যক্তি কীভাবে জাহান্নামে গেলো বরং আশ্চার্য্যের বিষয় হলো যে, হিসাব নিকাশ থেকে নাজাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি কীভাবে নাজাত পেলো?

 

 

কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আমরা দুনিয়ায় তো এসে গেছি কিন্তু এখন নাজাত কীভাবে পাবো? এক একটি আমলের হিসাব কীভাবে দিবো? আমলনামা হাতে ধরিয়ে দেয়া হবে। আমাদের প্রতিটি ছোট বড় আমল আমলনামায় লিপিবদ্ধ থাকবে আর অপরাধীরা চিৎকার করবে:

 

یٰلَیْتَنِیْ لَمْ اُوْتَ کِتٰبِیَہْ (ۚ۲۵) وَ لَمْ اَدْرِ مَا حِسَابِیَہْ (ۚ۲۶) یٰلَیْتَہَا کَانَتِ الْقَاضِیَۃَ (ۚ۲۷) مَاۤ اَغْنٰی عَنِّیْ مَالِیَہْ (ۚ۲۸) ھَلَکَ عَنِّیْ سُلْطٰنِیَہْ (ۚ۲۹)

(পারা ২৯, সূরা হাক্কা, আয়াত ২৫-২৯)             কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: হায়, কোন মতে আমাকে আমার আমলনামা না দেওয়া হতো! এবং আমি কি জানতাম যে, আমার হিসাব কি! হায়, কোন মতে মৃত্যুই কিস্‌সার সমাপ্তি হতো! আমার কোন কাজে আসলো না আমার ধন-সম্পদ। আমার সমস্ত ক্ষমতা শেষ হয়ে গেছে।

 

কিয়ামতের দিন কী উত্তর দিবেন?

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! চিন্তা করুন! সেই সময় আমরা কীভাবে হিসাব দিবো? কিন্তু আফসোস! আমরা ভয় করি না, অলসতা করি, উদাসীনতায় ডুবে থাকি, ধন-সম্পদের লোভ, নফস ও শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আখিরাতকে ভুলে যাই আর গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাই বরং মন্দকাজে অটল থাকি, তাওবা থেকে দূরে থাকি। মানুষকে লজ্জা করি ঠিক কিন্তু আল্লাহ পাককে লজ্জা করি না, রাতের অন্ধকারে, বদ্ধ রুমে, গোপনে গুনাহ করি। কিন্তু মনে রাখবেন! কিয়ামতের দিন আমাদের কোনো আমল গোপন থাকবে না। প্রত্যেক ছোট থেকে ছোট ও বড় থেকে বড় আমল আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

 

 

فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ خَیْرًا یَّرَہٗ ؕ(۷)  وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّۃٍ شَرًّا یَّرَہٗ (۸)

(পারা ৩০, সূরা যিলযাল, আয়াত ৭-৮)              কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং যে অণু পরিমাণ সৎকাজ করবে, সে তা দেখতে পাবে। এবং যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সে তা দেখতে পাবে।