থাকবে? না থাকবে না। কিন্তু আফসোস! আমরা বুঝতে চাইছি না, ভয় করছি না, আখিরাতকে ভুলে যাচ্ছি। দুনিয়ার এই নশ্বর জীবন, এখানকার ক্ষণিক আরাম-আয়েশের জন্য গর্ব করছি। আহ! মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন। আমরা তবুও গুনাহ থেকে বিরত হচ্ছি না।

বড় মুর্খ কে.....?

          একবার খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান হযরত মনসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে বললেন: হে মনসুর! একটি প্রশ্ন যার জন্য আমি আপনাকে এক বছর সুযোগ দিচ্ছি, এর উত্তর খুঁজে দিবেন। প্রশ্ন হলো যে, সবচেয়ে বড় জ্ঞানী কে এবং সবচেয়ে বড় মুর্খ কে? মনসুর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রশ্ন শুনে উত্তর খুঁজতে প্রাসাদ থেকে বাইরে এলেন। খোলা আকাশের নিচে আসার সাথেসাথেই আবার ফিরে গেলেন। খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান যখন তাকে দেখলেন বললেন: হে মনসূর! উত্তর কি পেয়ে গেছেন? বললেন: হ্যাঁ, সবচেয়ে বড় জ্ঞানী হলো সে, যে নেকী করেও ভীত থাকে এবং সবচেয়ে বড় মুর্খ সে, যে গুনাহও করে, আবার মহান আল্লাহর আযাবকে ভয়ই করে না।

          এটা শুনে আব্দুল মালিক বিন মরওয়ান কান্না করতে লাগলো, তারপর বললো: হে মনসূর! আল্লাহ পাকের শপথ! আপনি ঠিক বলেছেন। আমাকে অন্তরের শিফা অর্থাৎ কুরআনে পাকের কোনো আয়াত তিলাওয়াত করে শুনান! মনসূর বিন আম্মার رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৩য় পারা, সূরা আলে ইমরানের ৩০ নাম্বার আয়াত পাঠ করলেন:

یَوْمَ تَجِدُ کُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ مِنْ خَیْرٍ مُّحْضَرًا ۚۖۛ وَّ مَا عَمِلَتْ مِنْ سُوْٓءٍ ۚۛ    কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যে দিন প্রত্যেকে, যে ভাল কাজ করেছে তা বিদ্যমান পাবে এবং যে কোনো মন্দ কাজ করেছে তাও বিদ্যমান পাবে।

          এটা শুনে খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান বেহুঁশ হয়ে গেলেন। যখন হুঁশ এলো তখন বললেন: হে মনসূর! আল্লাহ পাকের বাণী:

وَ یُحَذِّرُکُمُ اللّٰہُ نَفْسَہٗ ؕ

(পারা ৩, আলে ইমরান, আয়াত ২৮)                  কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আল্লাহ তোমাদেরকে আপন ক্রোধ সম্পর্কে ভয় প্রদর্শন করছেন।

          এর অর্থ কী? হযরত মনসূর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এর অর্থ হলো যে, আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তার পাকড়াওয়ের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করছেন।

          এটা শুনে খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান বেহুঁশ হয়ে গেলেন। যখন হুঁশ এলো তখন বললেন: আল্লাহ পাকের শপথ! যে ব্যক্তি এই আয়াত নিয়ে চিন্তা করার পরেও নিজের রবের অবাধ্যতা করে, সে সরল পথ থেকে বহু দূরে রয়েছে। 

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আসলেই বিষয়টি এমনই! আমরা মুসলমান, আমাদের আক্বিদা হলো কিয়ামত সংঘটিত হবে। আমরা জানি ও মানি যে, কিয়ামতের দিন আমাদের এক একটি আমলের হিসাব দিতে হবে। আমরা এও জানি যে, কিয়ামতের দিন আমাদের নিকট কোনো